গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি-তে দুদকের অভিযান, সত্যতা পেয়েছে অনিয়মের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এ অভিযানে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় দুদকের অন্যান্য কমর্কর্তারা সঙ্গে ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবাবপত্র ক্রয়, লাইব্রেরিতে বই কেনা, অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি প্রদান, পানি শোধনাগার বিনষ্ট, কেনাকাটায় অনিয়ম, গেট নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অনিয়মের সন্ধান পায় দুদক। সেই আলোকে আজ রোববার অভিযান চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যারয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেঞ্চ ক্রয় করার অভিয়োগ প্রমাণিত হয়েছেম, যা নষ্ট হয়ে সরকারি অর্থ অপচয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং কমিশনের পরিচালক তুহিন মাহমুদ কেনাকাটায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যলয়ের অপর কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে ব্যাপক টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। আত্মীয়-স্বজনের নামে টেন্ডার নিয়ে কাজ না করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। এসব বিষয়ে ফাইল ও কাগজপত্র চেয়েছি। এসব ফাইল ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, সেভাবে মামলা দায়েরসহ বাকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি-তে দুদকের অভিযান, সত্যতা পেয়েছে অনিয়মের

আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এ অভিযানে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় দুদকের অন্যান্য কমর্কর্তারা সঙ্গে ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবাবপত্র ক্রয়, লাইব্রেরিতে বই কেনা, অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি প্রদান, পানি শোধনাগার বিনষ্ট, কেনাকাটায় অনিয়ম, গেট নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অনিয়মের সন্ধান পায় দুদক। সেই আলোকে আজ রোববার অভিযান চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যারয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেঞ্চ ক্রয় করার অভিয়োগ প্রমাণিত হয়েছেম, যা নষ্ট হয়ে সরকারি অর্থ অপচয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং কমিশনের পরিচালক তুহিন মাহমুদ কেনাকাটায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যলয়ের অপর কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে ব্যাপক টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। আত্মীয়-স্বজনের নামে টেন্ডার নিয়ে কাজ না করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। এসব বিষয়ে ফাইল ও কাগজপত্র চেয়েছি। এসব ফাইল ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, সেভাবে মামলা দায়েরসহ বাকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।