শিরোনাম :
Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের Logo দেশের সব বিভাগে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির আভাস Logo ইস্তাম্বুলে রাশিয়া–ইউক্রেনের আলোচনায় নেই পুতিন

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরোধে উত্তেজনা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।

রাসেলের অভিযোগ:

সংবাদ সম্মেলনে রাসেল আহমেদ জানান, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদকে নগরের ওয়াসার মোড়ে একটি রেস্টুরেন্টে “ডট গ্যাং” নামে একটি গ্রুপের সদস্যরা আটকে রাখে। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পাল্টা সংবাদ সম্মেলন:

রাসেলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই একই ভেন্যুতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। তিনি হান্নান মাসউদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন।

হট্টগোল ও হাতাহাতি:

দুটি সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়ে এবং তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। উভয় পক্ষের দাবি অনুযায়ী, সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচি:

এর আগে শনিবার বিকেল ৩টায় নগরের বিপ্লব উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পথসভা, লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়।

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা:

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে উভয় পক্ষ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরোধে উত্তেজনা

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।

রাসেলের অভিযোগ:

সংবাদ সম্মেলনে রাসেল আহমেদ জানান, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদকে নগরের ওয়াসার মোড়ে একটি রেস্টুরেন্টে “ডট গ্যাং” নামে একটি গ্রুপের সদস্যরা আটকে রাখে। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পাল্টা সংবাদ সম্মেলন:

রাসেলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই একই ভেন্যুতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। তিনি হান্নান মাসউদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন।

হট্টগোল ও হাতাহাতি:

দুটি সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়ে এবং তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। উভয় পক্ষের দাবি অনুযায়ী, সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচি:

এর আগে শনিবার বিকেল ৩টায় নগরের বিপ্লব উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পথসভা, লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়।

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা:

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে উভয় পক্ষ।