ভারতের উচিত চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো : টবি ক্যাডম্যান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার হিসেবে ভারতের উচিত হবে আইন মেনে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরতের উদ্যোগ নেয়া।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন টবি ক্যাডম্যান।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ব্রিটিশ এই আইনজীবী জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তিনি।

ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারই সিদ্ধান্তই যথার্থ। বাংলাদেশ চাইলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে পারে।

উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা থার্টি সেভেন ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানকে সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

ট্যাগস :

সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল

ভারতের উচিত চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো : টবি ক্যাডম্যান

আপডেট সময় : ০১:৫২:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার হিসেবে ভারতের উচিত হবে আইন মেনে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরতের উদ্যোগ নেয়া।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন টবি ক্যাডম্যান।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ব্রিটিশ এই আইনজীবী জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তিনি।

ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারই সিদ্ধান্তই যথার্থ। বাংলাদেশ চাইলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে পারে।

উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা থার্টি সেভেন ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানকে সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।