নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে এক নারী নিহত এবং শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। তাকে পেটে লাথি মারা হয়। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
ঘটনাটি মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঘটে। কিন্তু ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বিষয়টি প্রচার করেনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খাশ কাউন্টির গুনিচ গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালায়। সেখানে বিক্ষোভকারী বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায় তারা। ইরানের শাসনের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল।
এ ঘটনায় খান-বিবি বামেরি নামে একজন নারী নিহত হন। ১৮ বছরের কম বয়সী চারজনসহ আরও ১১ জন নারী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের একজন খাশের খোমেইনি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।
রেহানেহ বামেরি নামে আরেকজন গর্ভবতী নারীকে লাথি মারা হয়। তিনিও গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার গর্ভপাত ঘটে।অধিকার গোষ্ঠী এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের আচরণের প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীদের ওপর কোনো সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা আরও যোগ করেছে, গ্রামে কোনো পুরুষ না থাকা সত্ত্বেও এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
২০২২ সালের জাহেদান গণহত্যার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশটিতে অস্থিরতা লেগেই আছে। ইসরায়েলের হামলার পর আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির শাসনব্যবস্থার আবারও দমন-পীড়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে অঞ্চলটি।