শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ড্রোন নির্মাতার বাসায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ Logo ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল Logo তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত জানিয়ে যা বললেন সারজিস Logo নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছেপে শতকোটি টাকা লোপাট Logo সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে নতুন বার্তা আইন উপদেষ্টার Logo জুন শেষ না হতেই করোনায় চার মৃত্যু Logo ‘ইসরায়েল গোটা অঞ্চলে আগ্রাসনে নেমেছে, ইসলামী দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান অত্যন্ত জরুরি’ Logo আরও দুই মোসাদের গুপ্তচর গ্রেপ্তার Logo সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ইবি শিক্ষার্থী Logo ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তানের

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) সদস্যরা। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।

বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়। সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন।

তারা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়।

কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারও কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।

এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ড্রোন নির্মাতার বাসায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) সদস্যরা। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।

বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়। সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন।

তারা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়।

কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারও কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।

এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু।