শিরোনাম :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে Logo কেটিএমের নতুন বাইক ভারতের বাজারে আসবে কাল! Logo আপনারেই কিন্তু রিপেয়ার করে দিব, নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ Logo জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত Logo ছিনতাইকারীর কবলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী Logo চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ১১৭৩ জন Logo যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার Logo ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) সদস্যরা। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।

বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়। সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন।

তারা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়।

কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারও কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।

এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) সদস্যরা। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।

বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়। সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন।

তারা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়।

কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারও কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।

এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু।