শিরোনাম :
Logo নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন রাবি উপাচার্য Logo সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রশাসনের শোক Logo তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ড্রোন নির্মাতার বাসায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ Logo ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল Logo তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত জানিয়ে যা বললেন সারজিস Logo নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছেপে শতকোটি টাকা লোপাট Logo সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে নতুন বার্তা আইন উপদেষ্টার Logo জুন শেষ না হতেই করোনায় চার মৃত্যু Logo ‘ইসরায়েল গোটা অঞ্চলে আগ্রাসনে নেমেছে, ইসলামী দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান অত্যন্ত জরুরি’ Logo আরও দুই মোসাদের গুপ্তচর গ্রেপ্তার

পলাশবাড়ীতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ জব্দ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)  :

গাইবান্ধা জেলার  পলাশবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের হারুন সুপার মার্কেটে মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মূল্যে‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ জব্দ করা হয়ছে। ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন গাইবান্ধার  ঔষধ তত্তাবধায়ক মোঃ মেহেদী আফজাল পল্লব এ অভিযান পরিচালনা করেন। স্যাম্পল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে  ফার্মেসিগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে হারুন সুুপার মার্কেটের মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে স্যাম্পল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

অভিযান পরিচালনা দেখে বাকি পৌর শহরের অন্যান্য ফার্মেসী গুলো বন্ধ করে দোকানীরা দ্রুত সরে পরেন।
এ অভিযান পরিচালনাকলে ঔষধ তত্তাবধায়ক মোঃ মেহেদী আফজাল পল্লব বলেন, এই ঔষধ গুলো উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে  বাজারে ছাড়ার আগে ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়। এবং এসব স্যাম্পল ওষুধের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব দিতে হয় না। বিনামূল্যে দেওয়া এসব ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই পলাশবাড়ী বিভিন্ন ফার্মেসিতে স্যাম্পল ওষুধের কেনাবেচা চলে আসছে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ট্রায়ালে থাকা এসব ওষুধ সেবনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।  এসব ওষুধের মোড়কের (প্যাকেট) গায়ে লেখা ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, বিক্রি নিষিদ্ধ’। তবে দোকানিরা এগুলো বিক্রির জন্য কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। ওষুধের মোড়ক পাল্টে বিক্রয়যোগ্য ওষুধের মোড়কে রেখে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।   এটি অপরাধ, স্যাম্পল ওষুধের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে ঔষধ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে ফার্মেসি মালিকরা দাবী করেন,পলাশবাড়ীতে স্যাম্পল ওষুধ বিক্রির একটি চক্র রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশি ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পেয়ে থাকেন। কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি থেকে চিকিৎসকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যাম্পল পান। চিকিৎসকরা টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। সরাসরি চিকিৎসকদের মাধ্যমে বা দালাল চক্রের মাধ্যমে ওষুধগুলো খোলা বাজারে আসে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলা জুড়ে রাজস্ব ফাকি দিয়ে নকল ও বিদেশী নিষিদ্ধ ঔষধ গোপনে ক্রয় বিক্রয় অব্যহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।  বেশীর ভাগ দোকান খুজলে, ভেজাল ও মেয়াদ ঔষধ পাওয়া যাবে, আবার কেউ গোপন গুুদাম ও বসতবাসা বাড়ীতে রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।  পলাশবাড়ীতে এর আগেও একাধিকবার একাধিক ব্যক্তি ভেজাল ঔষধসহ আটক ও গ্রেফতারর হয়ে হাজত বাস করেছেন।  উপজেলার সর্বস্তরের সচেতন মানুষ ঔষধ প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবী জানান।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন রাবি উপাচার্য

পলাশবাড়ীতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ জব্দ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)  :

গাইবান্ধা জেলার  পলাশবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের হারুন সুপার মার্কেটে মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মূল্যে‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ জব্দ করা হয়ছে। ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন গাইবান্ধার  ঔষধ তত্তাবধায়ক মোঃ মেহেদী আফজাল পল্লব এ অভিযান পরিচালনা করেন। স্যাম্পল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে  ফার্মেসিগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে হারুন সুুপার মার্কেটের মেসার্স ফারিহা ফার্মেসিতে স্যাম্পল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

অভিযান পরিচালনা দেখে বাকি পৌর শহরের অন্যান্য ফার্মেসী গুলো বন্ধ করে দোকানীরা দ্রুত সরে পরেন।
এ অভিযান পরিচালনাকলে ঔষধ তত্তাবধায়ক মোঃ মেহেদী আফজাল পল্লব বলেন, এই ঔষধ গুলো উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে  বাজারে ছাড়ার আগে ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়। এবং এসব স্যাম্পল ওষুধের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব দিতে হয় না। বিনামূল্যে দেওয়া এসব ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই পলাশবাড়ী বিভিন্ন ফার্মেসিতে স্যাম্পল ওষুধের কেনাবেচা চলে আসছে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ট্রায়ালে থাকা এসব ওষুধ সেবনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।  এসব ওষুধের মোড়কের (প্যাকেট) গায়ে লেখা ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, বিক্রি নিষিদ্ধ’। তবে দোকানিরা এগুলো বিক্রির জন্য কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। ওষুধের মোড়ক পাল্টে বিক্রয়যোগ্য ওষুধের মোড়কে রেখে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।   এটি অপরাধ, স্যাম্পল ওষুধের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে ঔষধ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে ফার্মেসি মালিকরা দাবী করেন,পলাশবাড়ীতে স্যাম্পল ওষুধ বিক্রির একটি চক্র রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশি ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পেয়ে থাকেন। কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি থেকে চিকিৎসকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যাম্পল পান। চিকিৎসকরা টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। সরাসরি চিকিৎসকদের মাধ্যমে বা দালাল চক্রের মাধ্যমে ওষুধগুলো খোলা বাজারে আসে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলা জুড়ে রাজস্ব ফাকি দিয়ে নকল ও বিদেশী নিষিদ্ধ ঔষধ গোপনে ক্রয় বিক্রয় অব্যহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।  বেশীর ভাগ দোকান খুজলে, ভেজাল ও মেয়াদ ঔষধ পাওয়া যাবে, আবার কেউ গোপন গুুদাম ও বসতবাসা বাড়ীতে রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।  পলাশবাড়ীতে এর আগেও একাধিকবার একাধিক ব্যক্তি ভেজাল ঔষধসহ আটক ও গ্রেফতারর হয়ে হাজত বাস করেছেন।  উপজেলার সর্বস্তরের সচেতন মানুষ ঔষধ প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবী জানান।