ওএসডি রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, দায়িত্ব পেলেন ডা. শরিফুল ইসলাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডা. শরিফুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে (অধ্যাপক, চলতি দায়িত্ব) কর্মরত ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দুর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার এর নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী ১০.১১.২০২৪ খ্রি. তারিখের মধ্যে বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ১১.১১.২০২৪ খ্রি. তারিখ পূর্বাহ্নে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (Stand Release) বলে গণ্য হবেন; বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ অবমুক্তির সময় বর্তমান কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন ও যোগদানের পর বদলিকৃত কর্মস্থলে মুভ ইন হবেন। বর্ণিত কর্মকর্তাগণ যোগদানের পর পিডিএস আপডেট করবেন। পদায়নকৃত কর্মকর্তার যোগদানপত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পার-১ শাখার ই-মেইল perl@mefwd.gov.bd প্রেরণ করবেন।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাধ্যক্ষ করা হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে।

এরপর দিন বুধবার (৩০ অক্টোবর) থেকেই ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রমেকের চিকিৎসক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওইদিন তারা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান। এছাড়াও পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট বদলাতে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসককে চাপ দিয়েছিলেন তিনি ও সেই সময়ের অধ্যক্ষ। তাছাড়া ডা. মাহফুজ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেরও (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ওএসডি রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, দায়িত্ব পেলেন ডা. শরিফুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডা. শরিফুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে (অধ্যাপক, চলতি দায়িত্ব) কর্মরত ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দুর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার এর নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী ১০.১১.২০২৪ খ্রি. তারিখের মধ্যে বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ১১.১১.২০২৪ খ্রি. তারিখ পূর্বাহ্নে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (Stand Release) বলে গণ্য হবেন; বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ অবমুক্তির সময় বর্তমান কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন ও যোগদানের পর বদলিকৃত কর্মস্থলে মুভ ইন হবেন। বর্ণিত কর্মকর্তাগণ যোগদানের পর পিডিএস আপডেট করবেন। পদায়নকৃত কর্মকর্তার যোগদানপত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পার-১ শাখার ই-মেইল perl@mefwd.gov.bd প্রেরণ করবেন।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাধ্যক্ষ করা হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে।

এরপর দিন বুধবার (৩০ অক্টোবর) থেকেই ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রমেকের চিকিৎসক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওইদিন তারা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান। এছাড়াও পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট বদলাতে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসককে চাপ দিয়েছিলেন তিনি ও সেই সময়ের অধ্যক্ষ। তাছাড়া ডা. মাহফুজ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেরও (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দিয়েছেন।