শিরোনাম :
Logo ‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’ Logo ‘আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল’ Logo ‘উমামার সব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মতো না, আবার সব গ্রহণ করার মতোও না’ Logo মুরাদনগরের এক উপদেষ্টা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত: মির্জা ফখরুল Logo ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যেভাবে ঠেকানো হয় যুদ্ধ, চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য দিলো কাতার Logo নেতানিয়াহুর চলে যাওয়া উচিত: ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনেট Logo ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হলো কি না, দেখবেন যেভাবে Logo এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসবে ৮১৭ বন্দির মুখে হাসি Logo রাবি সংস্কারে ৯ দফা দাবি প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিলুপ্তির পথে চুয়াডাঙ্গার মৃৎশিল্প

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:মৃৎ কারিগররা মৃৎ শিল্পে লাভবান না হওয়ায় এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। মৃৎ কারিগরদের তৈরি পণ্য অন্য আধুনিক পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। মৃৎ কারিগররা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব হবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন। মৃৎ শিল্পে আধুনিকতার ছোয়া লাগলে আবারও সুদিন ফিরে পাবে মৃৎ কারিগররা। মৃৎ কারিগররা তাদের পুরাতন পেশা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হচ্ছেন। তারপরও আশার আলো দেখছেন, একদিন এ পেশায় সুদিন ফিরবে।
মৃৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় জিনিস মাটি, খঁড়ি, বিদ্যুত, লেবারসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। মৃৎ শিল্পের কাজ এখনও হাতেই তৈরি করছেন কারিগররা। এ শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা বিলুপ্তির কারণ। বছরের কিছু বিশেষ দিন পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা ছাড়া এ শিল্পের জিনিসের চাহিদা নেই। তৈরি জিনিসের দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এ সব কারণে তারা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রাম, মোমিনপুর গ্রাম, ডিঙ্গেদহ গ্রাম, দামুড়হুদা উপজেলার কুষাঘাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবার, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর, শিয়ালমারী, আন্দুলবাড়িয়া মৃৎ শিল্পের কাজ করেন। আগে জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ২৫০টি পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজ করেন।
একজন মৃৎ শিল্পী জানান, মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারিভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাটির তৈরি জিনিসের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ তেমন হয়না। এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। বাপ-দাদার পুরাতন পেশা বলে কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চুয়াডাঙ্গার উপব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় এক সময় অনেক মৃৎ শিল্প গড়ে উঠেছিল। নানা কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলাতেই কিছু সংখ্যক পরিবার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত। আর এ মৃৎ শিল্পের কাজ করেই তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’

বিলুপ্তির পথে চুয়াডাঙ্গার মৃৎশিল্প

আপডেট সময় : ১০:২০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:মৃৎ কারিগররা মৃৎ শিল্পে লাভবান না হওয়ায় এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। মৃৎ কারিগরদের তৈরি পণ্য অন্য আধুনিক পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। মৃৎ কারিগররা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব হবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন। মৃৎ শিল্পে আধুনিকতার ছোয়া লাগলে আবারও সুদিন ফিরে পাবে মৃৎ কারিগররা। মৃৎ কারিগররা তাদের পুরাতন পেশা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হচ্ছেন। তারপরও আশার আলো দেখছেন, একদিন এ পেশায় সুদিন ফিরবে।
মৃৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় জিনিস মাটি, খঁড়ি, বিদ্যুত, লেবারসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। মৃৎ শিল্পের কাজ এখনও হাতেই তৈরি করছেন কারিগররা। এ শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা বিলুপ্তির কারণ। বছরের কিছু বিশেষ দিন পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা ছাড়া এ শিল্পের জিনিসের চাহিদা নেই। তৈরি জিনিসের দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এ সব কারণে তারা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রাম, মোমিনপুর গ্রাম, ডিঙ্গেদহ গ্রাম, দামুড়হুদা উপজেলার কুষাঘাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবার, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর, শিয়ালমারী, আন্দুলবাড়িয়া মৃৎ শিল্পের কাজ করেন। আগে জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ২৫০টি পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজ করেন।
একজন মৃৎ শিল্পী জানান, মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারিভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাটির তৈরি জিনিসের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ তেমন হয়না। এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। বাপ-দাদার পুরাতন পেশা বলে কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চুয়াডাঙ্গার উপব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় এক সময় অনেক মৃৎ শিল্প গড়ে উঠেছিল। নানা কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলাতেই কিছু সংখ্যক পরিবার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত। আর এ মৃৎ শিল্পের কাজ করেই তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।