শিরোনাম :
Logo কয়রায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে জেলি পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করা চিংড়ি আটক Logo প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়লো Logo ট্রাম্পের জীবনের আক্ষেপ ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা, করতে চেয়েছিলেন বিয়ে Logo ‘চব্বিশের যোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ফ্যাসিস্ট আর দাঁড়াতে পারবে না’ Logo ইবির বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য Logo ইবিতে সেশনজট নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জনগণ কোনো চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজকে সংসদে পাঠাবে না: ফয়জুল করীম Logo অনেক প্রতিষ্ঠান নাগরিকের তথ্য রেখে দেয়, এতে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের আলোচনা Logo ইবিতে বাংলার লোকজ অলংকার প্রদর্শনী: ঐতিহ্যের ঝলক

আলমডাঙ্গায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৩৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

দরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ঔষধ ফার্মেসীতে বিক্রি
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গায় সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ ফার্মেসীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গায় কর্মরত সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিকের চার মাঠকর্মি শহরের হাইরোডের একটি ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রিকালে আশপাশের লোকজন জেনে গেলে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন।
জানা গেছে, সূর্যের হাসি ক্লিনিক নামের এনজিও দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন শহরে গ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ওই এনজিও সাধারণত দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবাই কাজ করে। মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পুষ্টি, কৈশরকালীন স্বাস্থ্য সেবা, দরিদ্রদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। ইউএসএআইডি, ইউকে এইডসহ বৈদেশিক দাতা গোষ্ঠীর আর্থিক সাহায্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। আলমডাঙ্গা শহরের গোবিন্দপুরে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের অফিস রয়েছে। এই ক্লিনিকে কর্মরত বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত সিএসপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা প্রতি মাসে বরাদ্দের ঔষধ নিয়মানুযায়ি দরিদ্র অসহায় মায়েদের নিকট সরবরাহ না করে শহরের বিভিন্ন ঔষধের ফার্মেসীতে বিক্রি করে থাকে। অভিযোগ উঠে আলমডাঙ্গা শহরের হাইরোডে অবস্থিত দীপ্ত ফার্মেসীতে তারা নিয়মিত ঔষধ বিক্রি করে থাকে। বিষয়টি আশপাশের ব্যবসায়ীরা জেনে যায়। তাই আগে থেকেই তারা সতর্ক ছিল।
গত সোমবার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সিএসপি উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মল্লিক শেখের মেয়ে জাসেনা খাতুন, একই গ্রামের টুটুলের স্ত্রী রূপালী খাতুন, হাঁপানিয়া গ্রামের নাজমুলের স্ত্রী পারভিনা খাতুন ও বাঁচামারীর লাল লালচাঁদ আলীর স্ত্রী কাবিনুর খাতুন ওরস স্যালাইন, স্যানোরা, প্যানাথার, ফেমিকনসহ কয়েক প্রকার ঔষধ দীপ্ত ফার্মেসীতে বিক্রি করে। সে সময় আশপাশের কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযুক্ত সিএসপিরা জানান, তাদের বেতন দিতে গিয়ে নানা টালবাহানা করা হয়। সে কারণে তারা এই ক্লিনিকে অর্ধেক দামে মালামাল বিক্রি করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশি এক ব্যবসায়ী জানান, এ ঘটনার আগেও ওই একই দিন আরও কয়েকজন মহিলা অবৈধভাবে ঔষধ বিক্রি করে গিয়েছেন। দীপ্ত ফার্মেসীর মালিক শুধু চোরাই ঔষধই না বিক্রয় নিষিদ্ধ ও নেশা জাতীয় ঔষধ বিক্রির অপরাধে ইতোপূর্বে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। দীপ্ত ফার্মেসীর মালিক দিলীপ কুমার জানান, আমি তো সরকারি ঔষধ ক্রয় করি নি, এনজিও’র ঔষধ ক্রয় করেছি।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক নাফিজ ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে কথা হয়। তিনি এ সম্পর্কে কথা না বলে বার বার তার অফিসে যেতে অনুরোধ করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে জেলি পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করা চিংড়ি আটক

আলমডাঙ্গায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:২১:৩৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

দরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ঔষধ ফার্মেসীতে বিক্রি
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গায় সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ ফার্মেসীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গায় কর্মরত সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিকের চার মাঠকর্মি শহরের হাইরোডের একটি ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রিকালে আশপাশের লোকজন জেনে গেলে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন।
জানা গেছে, সূর্যের হাসি ক্লিনিক নামের এনজিও দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন শহরে গ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ওই এনজিও সাধারণত দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবাই কাজ করে। মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পুষ্টি, কৈশরকালীন স্বাস্থ্য সেবা, দরিদ্রদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। ইউএসএআইডি, ইউকে এইডসহ বৈদেশিক দাতা গোষ্ঠীর আর্থিক সাহায্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। আলমডাঙ্গা শহরের গোবিন্দপুরে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের অফিস রয়েছে। এই ক্লিনিকে কর্মরত বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত সিএসপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা প্রতি মাসে বরাদ্দের ঔষধ নিয়মানুযায়ি দরিদ্র অসহায় মায়েদের নিকট সরবরাহ না করে শহরের বিভিন্ন ঔষধের ফার্মেসীতে বিক্রি করে থাকে। অভিযোগ উঠে আলমডাঙ্গা শহরের হাইরোডে অবস্থিত দীপ্ত ফার্মেসীতে তারা নিয়মিত ঔষধ বিক্রি করে থাকে। বিষয়টি আশপাশের ব্যবসায়ীরা জেনে যায়। তাই আগে থেকেই তারা সতর্ক ছিল।
গত সোমবার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সিএসপি উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মল্লিক শেখের মেয়ে জাসেনা খাতুন, একই গ্রামের টুটুলের স্ত্রী রূপালী খাতুন, হাঁপানিয়া গ্রামের নাজমুলের স্ত্রী পারভিনা খাতুন ও বাঁচামারীর লাল লালচাঁদ আলীর স্ত্রী কাবিনুর খাতুন ওরস স্যালাইন, স্যানোরা, প্যানাথার, ফেমিকনসহ কয়েক প্রকার ঔষধ দীপ্ত ফার্মেসীতে বিক্রি করে। সে সময় আশপাশের কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযুক্ত সিএসপিরা জানান, তাদের বেতন দিতে গিয়ে নানা টালবাহানা করা হয়। সে কারণে তারা এই ক্লিনিকে অর্ধেক দামে মালামাল বিক্রি করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশি এক ব্যবসায়ী জানান, এ ঘটনার আগেও ওই একই দিন আরও কয়েকজন মহিলা অবৈধভাবে ঔষধ বিক্রি করে গিয়েছেন। দীপ্ত ফার্মেসীর মালিক শুধু চোরাই ঔষধই না বিক্রয় নিষিদ্ধ ও নেশা জাতীয় ঔষধ বিক্রির অপরাধে ইতোপূর্বে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। দীপ্ত ফার্মেসীর মালিক দিলীপ কুমার জানান, আমি তো সরকারি ঔষধ ক্রয় করি নি, এনজিও’র ঔষধ ক্রয় করেছি।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক নাফিজ ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে কথা হয়। তিনি এ সম্পর্কে কথা না বলে বার বার তার অফিসে যেতে অনুরোধ করেন।