শিরোনাম :
Logo ইনকাম ট্যাক্স অফিসে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একজন আন্দোলন করছেন: রিজভী Logo চার ইস্যুতে জাতীয় স্বার্থবিরোধী তৎপরতা বন্ধের দাবি সাম্যবাদী আন্দোলনের Logo প্রয়াত জামায়াত নেতার কবর জিয়ারত করলেন শফিকুর রহমান Logo ৮ আগস্ট ‘বিপ্লব বেহাত দিবস’ পালনের ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের Logo ২৫০০ ফিট উচ্চতা থেকে ফিরে এলো বাংলাদেশি বিমান Logo সরকারি জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য Logo স্বপ্ন না দেখলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘বোমা ও যুদ্ধ আমাদের বিশ্বাসকে দুর্বল নয়, আরও শক্তিশালী করে’ Logo ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা পাক প্রধানমন্ত্রীর Logo রাবি খোকসা উপজেলা সমিতি নেতৃত্বে তারিকুল ও রিমা

নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে 

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৯
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ : তদন্তের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক: দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক সাইদুরের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক অভিযুক্ত লাইব্রেরীয়ানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান সাইদুর বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বাজে মন্তব্য করে। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে জানালে তার অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বিষয়টি জানায়। তাতেও সাইদুর নিজেকে সংশোধন না করে আবারো মেয়েটিকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। শেষ পর্যন্ত কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর মা জানান, অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান আমার মেয়েকে নিয়ে তার সামনে বিভিন্ন বাজে বাজে মন্তব্য করে। আমার মেয়েকে নই আরো মেয়েকে সে বাজে কথা বলে। আমার মেয়েকে আর নাটুদাহ স্কুলে পাঠাবো না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক জানান, ওর বিরুদ্ধে মেয়েঘটিত অভিযোগের শেষ নেই। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা কেউ এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেয়নি। তাদের দাবি লাইব্রেরিয়ানে শাস্তি না হলে তারা এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেবেনা।  অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান সাইদুরের বহিস্কারের দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ানের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং নিজেকে জাহিরি করতে থাকেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ দেবার কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এ্যাসিল্যান্ড) কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইনকাম ট্যাক্স অফিসে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একজন আন্দোলন করছেন: রিজভী

নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে 

আপডেট সময় : ১২:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৯

অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ : তদন্তের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক: দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক সাইদুরের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক অভিযুক্ত লাইব্রেরীয়ানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান সাইদুর বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বাজে মন্তব্য করে। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে জানালে তার অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বিষয়টি জানায়। তাতেও সাইদুর নিজেকে সংশোধন না করে আবারো মেয়েটিকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। শেষ পর্যন্ত কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর মা জানান, অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান আমার মেয়েকে নিয়ে তার সামনে বিভিন্ন বাজে বাজে মন্তব্য করে। আমার মেয়েকে নই আরো মেয়েকে সে বাজে কথা বলে। আমার মেয়েকে আর নাটুদাহ স্কুলে পাঠাবো না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক জানান, ওর বিরুদ্ধে মেয়েঘটিত অভিযোগের শেষ নেই। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা কেউ এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেয়নি। তাদের দাবি লাইব্রেরিয়ানে শাস্তি না হলে তারা এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেবেনা।  অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান সাইদুরের বহিস্কারের দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ানের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং নিজেকে জাহিরি করতে থাকেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ দেবার কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এ্যাসিল্যান্ড) কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।