শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

ঝিনাইদহের ঘোড়শাল ইউনিয়নে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিকঃ আবহমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লাঠি খেলা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারাতে বসেছে বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ খেলা। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকাও। তারপরও অনেককেই এখনও দেখা যায় খেলাটি খেলতে। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টনের আয়োজনে সদর উপজেলার মুনুড়িয়া স্কুল মাঠে বসেছিল লাঠিখেলার এ আসর। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই লাঠি খেলা দেখতে ভীড় করে হাজার হাজার মানুষ। দর্শকদের হাততালিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। দর্শকরা জানান, অনেকেই এ খেলা প্রথম দেখলেন। হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই লাঠিখেলার এমন আয়োজন প্রতিনিয়ত করার দাবি তাদের। আয়োজক পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, আর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে। ৬০ দশক থেকে প্রচলিত এ লাঠিখেলাকে আজও গ্রাম ও শহরের বুকে ধরে রাখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পৃষ্টপোষক জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় লাঠি খেলা। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ এখন ভুলতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলাটি। এ খেলাটি সত্যি মনমুগ্ধকর। প্রচন্ড ভিড় উপেক্ষা করে লাঠিখেলা উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ। বর্ণিল সাজে লাঠি হাতে লাঠিয়ালরা অংশ নেন এ খেলায়। ঢাকঢোল আর বাঁশির তালে আনন্দে উল্ল¬াসে মেতে ওঠেন সবাই। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ রং-বেরঙের পোশাক পরে মাঠে নামেন লাঠি খেলতে। মানুষের এ উচ্ছাস প্রমাণ করে লাঠি খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এসময় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আছাদুজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সাইফুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ জামান, সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহের ঘোড়শাল ইউনিয়নে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিকঃ আবহমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লাঠি খেলা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারাতে বসেছে বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ খেলা। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকাও। তারপরও অনেককেই এখনও দেখা যায় খেলাটি খেলতে। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টনের আয়োজনে সদর উপজেলার মুনুড়িয়া স্কুল মাঠে বসেছিল লাঠিখেলার এ আসর। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই লাঠি খেলা দেখতে ভীড় করে হাজার হাজার মানুষ। দর্শকদের হাততালিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। দর্শকরা জানান, অনেকেই এ খেলা প্রথম দেখলেন। হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই লাঠিখেলার এমন আয়োজন প্রতিনিয়ত করার দাবি তাদের। আয়োজক পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, আর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে। ৬০ দশক থেকে প্রচলিত এ লাঠিখেলাকে আজও গ্রাম ও শহরের বুকে ধরে রাখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পৃষ্টপোষক জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় লাঠি খেলা। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ এখন ভুলতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলাটি। এ খেলাটি সত্যি মনমুগ্ধকর। প্রচন্ড ভিড় উপেক্ষা করে লাঠিখেলা উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ। বর্ণিল সাজে লাঠি হাতে লাঠিয়ালরা অংশ নেন এ খেলায়। ঢাকঢোল আর বাঁশির তালে আনন্দে উল্ল¬াসে মেতে ওঠেন সবাই। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ রং-বেরঙের পোশাক পরে মাঠে নামেন লাঠি খেলতে। মানুষের এ উচ্ছাস প্রমাণ করে লাঠি খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এসময় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আছাদুজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সাইফুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ জামান, সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।