নাটোর-৪ এ এগিয়ে জাপার আলাউদ্দিন মৃধা; বিএনপিমুখী কাশেম সরকার

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে
নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ সারাদেশের ন্যায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনেও। এ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির বাইরেও শক্তি সঞ্চয়ে আছে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকার ও নাটোর জেলা জাপার সাধারণ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য শিল্পপতি অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধার নাম থাকলেও মাঠে অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধা ছাড়া দলের অপর প্রার্থীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার (২১শে জুলাই)  দেয়া এক সাক্ষাতকারে অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, জনতার দাবী আদায়ে লাঙ্গলের কোন বিকল্প নেই, বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আগের তুলনায় জাতীয় পার্টি অনেক শক্তিশালী। পল্লীবন্ধু এরশাদের শাসন আমল ছিলো দেশের জন্য এক স্বর্ণযুগ, যেখানে সাধারাণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের এক নিশ্চয়তা পেয়েছে। খুন গুমের কোন ভয় ছিলোনা, ছিলোনা কোন জালাও পোড়াও রাজনীতি। সাধারণ মানুষ আজও এরশাদ স্যার ও জাতীয় পার্টিকে পাগলের মত ভালবাসে।
দলের প্রার্থী হিসেবে তার (অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধার) অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছে পল্লীবন্ধুর উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেয়ার, যাতে করে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে পল্লীবন্ধুর শাসন আমল কেমন ছিলো। জোট হোক বা একক এরশাদ সাহেব যদি আমাকে এ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনে করে মনোনয়ন দেন তবে আমি যে কোন দলের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।
দলের অপর প্রার্থী অাবুল কাশেম সরকারের  অবস্থান জানতে চাইলে অধ্যাপক আলাউদ্দির মৃধা বলেন, তিনিও জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী, তবে মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড অবশ্যই প্রার্থীর ব্যাক্তি গ্রহণ যোগ্যতা ও নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর অবস্থান যাচাই করবেন।
নাটোর-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আরো খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, বিগত দুই-তিন বছরের মধ্যে কোন দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম  করেননি আবুল কাশেম সরকার। গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর থেকেই তিনি খুব একটা সাংগঠনিক কার্যক্রম করেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবুল কাশেম সরকার সমর্থিত জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা  জানান, কাশেম সাহেব বলেছেন টিকিট দেবে কেন্দ্র মাঠে থাকার কোন প্রয়োজন নেই, টিকিট নিশ্চিত হলে তার পরেই মাঠে নামবো।
বিএনপিতে যোগদান করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কিন্তু পাননি, পরবর্তীতে ২০০৭ সালে পুনরায় জাপায় ফিরে আসেন। আগামী নির্বাচনে তাকে (আবুল কাশেম সরকার কে ) মনোনয়ন না দিলে তিনি আবারও বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক ও  সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোর-৪ এ এগিয়ে জাপার আলাউদ্দিন মৃধা; বিএনপিমুখী কাশেম সরকার

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ সারাদেশের ন্যায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনেও। এ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির বাইরেও শক্তি সঞ্চয়ে আছে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকার ও নাটোর জেলা জাপার সাধারণ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য শিল্পপতি অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধার নাম থাকলেও মাঠে অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধা ছাড়া দলের অপর প্রার্থীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার (২১শে জুলাই)  দেয়া এক সাক্ষাতকারে অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, জনতার দাবী আদায়ে লাঙ্গলের কোন বিকল্প নেই, বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আগের তুলনায় জাতীয় পার্টি অনেক শক্তিশালী। পল্লীবন্ধু এরশাদের শাসন আমল ছিলো দেশের জন্য এক স্বর্ণযুগ, যেখানে সাধারাণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের এক নিশ্চয়তা পেয়েছে। খুন গুমের কোন ভয় ছিলোনা, ছিলোনা কোন জালাও পোড়াও রাজনীতি। সাধারণ মানুষ আজও এরশাদ স্যার ও জাতীয় পার্টিকে পাগলের মত ভালবাসে।
দলের প্রার্থী হিসেবে তার (অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধার) অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছে পল্লীবন্ধুর উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেয়ার, যাতে করে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে পল্লীবন্ধুর শাসন আমল কেমন ছিলো। জোট হোক বা একক এরশাদ সাহেব যদি আমাকে এ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনে করে মনোনয়ন দেন তবে আমি যে কোন দলের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।
দলের অপর প্রার্থী অাবুল কাশেম সরকারের  অবস্থান জানতে চাইলে অধ্যাপক আলাউদ্দির মৃধা বলেন, তিনিও জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী, তবে মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড অবশ্যই প্রার্থীর ব্যাক্তি গ্রহণ যোগ্যতা ও নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর অবস্থান যাচাই করবেন।
নাটোর-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আরো খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, বিগত দুই-তিন বছরের মধ্যে কোন দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম  করেননি আবুল কাশেম সরকার। গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর থেকেই তিনি খুব একটা সাংগঠনিক কার্যক্রম করেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবুল কাশেম সরকার সমর্থিত জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা  জানান, কাশেম সাহেব বলেছেন টিকিট দেবে কেন্দ্র মাঠে থাকার কোন প্রয়োজন নেই, টিকিট নিশ্চিত হলে তার পরেই মাঠে নামবো।
বিএনপিতে যোগদান করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কিন্তু পাননি, পরবর্তীতে ২০০৭ সালে পুনরায় জাপায় ফিরে আসেন। আগামী নির্বাচনে তাকে (আবুল কাশেম সরকার কে ) মনোনয়ন না দিলে তিনি আবারও বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক ও  সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।