মিসেস নুরুস সাবিহা বলেন, এই কমিশনের সদস্য নিয়োগের সময়ই প্রথম ও প্রধান ভুলটি হয়েছে। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের এক নেত্রীকে। নারীপক্ষ বাংলাদেশে একটি মতাদর্শিক আন্দোলনের সাথে জড়িত যার সাথে এদেশের নারী সমাজের বৃহৎ অংশ একমত না। কমিশনে আরও যাদেরকে সদস্য করা হয়েছে, তারাও একই মতাদর্শের। ফলে এই কমিশন বাংলাদেশের নারীদের সাধারণ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে না। প্রতিবেদনেও সেই একদেশদর্শি চিন্তা ও ভাবনার প্রতিফলন দেখা গেছে।
ইসলামী আন্দোলনের মহিলা নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন তৈরিতে একাডেমিক স্বীকৃত কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় নাই। বৈষম্য, উন্নয়ন, নারীর অধিকার ইত্যাদি জরুরি ও প্রধান পরিভাষার কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই। অথচ সমাজবিজ্ঞানে এই ধরনের প্রতিবেদনের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা অপরিহার্য। প্রতিবেদনে কোনো তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার না করেই নানা সিদ্ধান্তমূলক মন্তব্য করে তার ভিত্তিতে নানা প্রস্তাব করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মনে হয়েছে, এটা কোনো সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন না বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শিক আন্দোলনের প্রচারপত্র তৈরি করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে যখন আমূল সংস্কার ভাবনায় গোটা জাতি উন্মুখ হয়ে আছে তখন এই ধরনের নিন্মমানের প্রপাগান্ডা ধরণের প্রস্তাব সংস্কার কার্যক্রমকেই বিতর্কিত করবে।
নারী নেত্রী মিসেস নুরুস সাবিহা বলেন, প্রতিবেদনে এক জায়গায় উপ-শিরোনাম করা হয়েছে, ‘পুরুষের ক্ষমতা ভেঙ্গে গড়ো সমতা’। এই ধরনের ভাষা ও প্রতিপাদ্যই তাদের চিন্তা ও সমাজ বিচ্ছিন্নতা প্রমান করে। বাঙালি নারী কখনোই পুরুষকে প্রতিপক্ষ না বরং সহযোগী ও সহকর্মী ভেবেছে। পুরুষের সাথে নারীর সম্পর্ক ক্ষমতার না বরং মায়া-মমতা ও ভালোবাসার। মায়া-মমতা ও ভালোবাসার সম্পর্কের কারণেই বাঙালি পুরুষ নারীর মর্যাদা রক্ষায় নিজের রক্ত উৎসর্গ করেছে আর বাঙালি নারী-পুরুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ঘাম ঝরিয়ে সংসার গড়েছে। কমিশনের সদস্যবৃন্দ নারী-পুরুষের সম্পর্ক নির্ণয়ের মূলভিত্তি নির্ধারণে ভুল করেছে ফলে তাদের প্রতিবেদন পুরোটাই ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে।