ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও পালিয়েছেন। তিনি বারবার পালাবেন না বলেও পালিয়েছেন। নিজে পালিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দলের এই সাধারণ সম্পাদক বিপদে ফেলে গেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের। অপরদিকে বর্তমানে বেশ আরাম আয়েশেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এবার কোথায় পালাবেন ওবায়দুল কাদের?
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট বা ‘রেড নোটিশ’ হচ্ছে এমন একটি আন্তর্জাতিক সতর্কবার্তা, যার মাধ্যমে কোনো দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধে অভিযুক্ত বা পলাতক আসামিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে খুঁজে বের করার জন্য সহযোগিতা চায়। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সাহায্য করে।
রেড অ্যালার্ট সাধারণত তখনই জারি করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি নিজ দেশের আইনে ফৌজদারি মামলার আসামি হিসেবে বিবেচিত হন এবং তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকে।
এই ব্যক্তি যদি দেশত্যাগ করে বা বিদেশে আত্মগোপনে যান, তখন তাকে আন্তর্জাতিকভাবে খুঁজে বের করতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়।
প্রক্রিয়াটি শুরু হয় সংশ্লিষ্ট দেশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে। বাংলাদেশে এ কাজটি করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। বিদেশে পলাতক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো।
এনসিবি সংশ্লিষ্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতের আদেশসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ইন্টারপোল সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে।
ইন্টারপোলের সদর দপ্তর সেটি যাচাই করে দেখে আবেদনটি বৈধ হলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে, যা তাদের ১৯৫টি সদস্য রাষ্ট্রে নোটিশে পাঠানো হবে। এই নোটিশে আসামির ছবি, পরিচয়, অপরাধের ধরন, এবং কোথায় তাকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কিত তথ্য থাকে।
জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের কলকাতার অভিজাত এলাকা রাজারহাট নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। জানা গেছে, বর্তমানে তিনি ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজায় আছেন।