পদত্যাগ করলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১৩ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। তবে রাফিদ কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলেও জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগের মিছিলকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পোস্ট দেন রাফিদ।

পোস্টে রাফিদ লেখেন, ‘এয়ারপোর্টে আজ যে মিছিল হলো, সেটার পিছে অন্তত গত ৩ মাস ধরে কাজ করা হইছে। এই মিছিলগুলা যাতে হতে না পারে সে জন্য আমরা সবাই অনেক কাজ করছি। রাতের আঁধারে কেউ গ্রাফিতি আঁকলেও তাকে আইডেন্টিফাই করা, উত্তরার কোথায় থাকে, ফান্ডিং কে দেয়—সব বের করছি।’ ‘কিন্তু ওদের অ্যাগেইনস্টে (বিপক্ষে) কিছু করা যায়নি।

প্রশাসন তো হেল্পফুল না—এটা একটা ব্যাপার। তবে প্রশাসন যাতে ঠিকমতো কাজ না করতে পারে সে জন্য উত্তরবঙ্গের দুই নেতা (একজন আবার অভ্যুত্থানের মহানায়ক ক্যান্ডিডেট) অ্যাকটিভলি কাজ করছে। লোকাল ছাপড়িদের নিয়ে টাকা খেয়ে পুনর্বাসন করছে। ওই টাকা আবার রবিনহুডের মতো গরিবদের ঈদ বাজার করে নিজের প্রচারণা চালিয়েছে।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘গতকাল ওই ছাপড়ি গ্যাংয়ের একজন এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ধরা পড়ার পর ঠিকই তদবির করতে দুই নেতার একজনের নাম ভাঙেয়ে কল দিছে বাগছাসের এক নেতা।’

রাফিদ লেখেন, এটাই বাস্তব। ‘রাজনীতি করতে টাকা লাগবে’, ‘এদের একটা পলিটিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আছে ওইটা ধরতে হবে’, ‘আরে ব্যবসায়ী তো সবার সাথেই গুড রিলেশন’ বলে আওয়ামীদের সেভ দেওয়া হবে যাতে মিছিল লম্বা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। তবে রাফিদ কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলেও জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগের মিছিলকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পোস্ট দেন রাফিদ।

পোস্টে রাফিদ লেখেন, ‘এয়ারপোর্টে আজ যে মিছিল হলো, সেটার পিছে অন্তত গত ৩ মাস ধরে কাজ করা হইছে। এই মিছিলগুলা যাতে হতে না পারে সে জন্য আমরা সবাই অনেক কাজ করছি। রাতের আঁধারে কেউ গ্রাফিতি আঁকলেও তাকে আইডেন্টিফাই করা, উত্তরার কোথায় থাকে, ফান্ডিং কে দেয়—সব বের করছি।’ ‘কিন্তু ওদের অ্যাগেইনস্টে (বিপক্ষে) কিছু করা যায়নি।

প্রশাসন তো হেল্পফুল না—এটা একটা ব্যাপার। তবে প্রশাসন যাতে ঠিকমতো কাজ না করতে পারে সে জন্য উত্তরবঙ্গের দুই নেতা (একজন আবার অভ্যুত্থানের মহানায়ক ক্যান্ডিডেট) অ্যাকটিভলি কাজ করছে। লোকাল ছাপড়িদের নিয়ে টাকা খেয়ে পুনর্বাসন করছে। ওই টাকা আবার রবিনহুডের মতো গরিবদের ঈদ বাজার করে নিজের প্রচারণা চালিয়েছে।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘গতকাল ওই ছাপড়ি গ্যাংয়ের একজন এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ধরা পড়ার পর ঠিকই তদবির করতে দুই নেতার একজনের নাম ভাঙেয়ে কল দিছে বাগছাসের এক নেতা।’

রাফিদ লেখেন, এটাই বাস্তব। ‘রাজনীতি করতে টাকা লাগবে’, ‘এদের একটা পলিটিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আছে ওইটা ধরতে হবে’, ‘আরে ব্যবসায়ী তো সবার সাথেই গুড রিলেশন’ বলে আওয়ামীদের সেভ দেওয়া হবে যাতে মিছিল লম্বা হয়।