শিরোনাম :

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়, বিশাল বিনিয়োগের আশা প্রধান উপদেষ্টার

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:১০:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশাপ্রকাশ করেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। তিনি জানান, অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে এ অঞ্চলে একটি বড় বাজার সৃষ্টি করবেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা চীনকে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে বিবেচনা করি। বিগত বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালো হয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য শক্তিশালী হয়েছে। চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে আমরা লাভবান হয়েছি। চীনের সাফল্য দেখে বাংলাদেশের সবাই অনুপ্রেরণা পায়।’

চীনের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, ‘উন্নয়ন বলতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জিডিপি বা প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বরেখাকে বোঝায়, তবে চীন এক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে নিম্ন আয়ের লোকজনের জীবনমান উন্নয়নের দিকে। এ কারণেই চীন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য হ্রাসে সক্ষম হয়েছে।’

এসময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। বর্তমানে আমাদের শিল্পখাতের কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সবই চীন থেকে আমদানি করা’।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা চাইলে বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটি দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিই নয় বরং এমন একটি অর্থনীতি তৈরি করতে পারি, যেখানে সবার অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে।’

দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্ককে এমন একটি উন্নততর স্তরে নিয়ে যেতে পারি যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা কেবল অর্থনীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও ঘটবে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পার করেছি এবং আশা করছি পরবর্তী ৫০ বছর আরও দারুণ হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর অংশগ্রহণে চাঁদপুরে জাকের পার্টির ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়, বিশাল বিনিয়োগের আশা প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০১:১০:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশাপ্রকাশ করেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। তিনি জানান, অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে এ অঞ্চলে একটি বড় বাজার সৃষ্টি করবেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা চীনকে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে বিবেচনা করি। বিগত বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালো হয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য শক্তিশালী হয়েছে। চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে আমরা লাভবান হয়েছি। চীনের সাফল্য দেখে বাংলাদেশের সবাই অনুপ্রেরণা পায়।’

চীনের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, ‘উন্নয়ন বলতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জিডিপি বা প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বরেখাকে বোঝায়, তবে চীন এক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে নিম্ন আয়ের লোকজনের জীবনমান উন্নয়নের দিকে। এ কারণেই চীন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য হ্রাসে সক্ষম হয়েছে।’

এসময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। বর্তমানে আমাদের শিল্পখাতের কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সবই চীন থেকে আমদানি করা’।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা চাইলে বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটি দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিই নয় বরং এমন একটি অর্থনীতি তৈরি করতে পারি, যেখানে সবার অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে।’

দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্ককে এমন একটি উন্নততর স্তরে নিয়ে যেতে পারি যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা কেবল অর্থনীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও ঘটবে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পার করেছি এবং আশা করছি পরবর্তী ৫০ বছর আরও দারুণ হবে।’