বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

শিল্পাঙ্গনে দুই ভারতীয় শিল্পীর ছাপচিত্র প্রদর্শনী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ছাপচিত্রে সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে ভারতের দুই শিল্পী অজিত শীল ও উত্তম কুমার বসাক স্বতন্ত্র। এ দুই শিল্পীকে নিয়ে গতকাল শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘ডাইভারসিটি ইন ডুয়ালিটি’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এ দুই শিল্পীই শান্তিনিকেতনের ছাত্র এবং দুজনেই শান্তিনিকেতনে ছাপচিত্রের শিক্ষক। ছাপচিত্রের সঙ্গে আঙ্গিক প্রকরণের যোগ গভীর। এই দুই শিল্পী আঙ্গিক প্রয়োগে, করণকৌশলে নিজেদের স্বতন্ত্রতার কথা জানান দেন। সেই সঙ্গে নিজস্ব শিল্প ভাবনা শিল্পরসিকদের কাছে তাদের আলাদা করে চেনায়।

এদের মধ্যে অজিত শীলের নর-নারী একটি প্রধান বিষয়। নর-নারীর সম্পর্ক নানাভাবে ঘুরে ফিরে উঠে আসে তার ক্যানভাসে। একাধিক রঙের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তার ক্যানভাসে ফুটে ওঠে সামগ্রিক পটভূমি। মুন্সিয়ানার সঙ্গে রঙের ব্যবহারে তিনি এঁকে চলেন ময়ুর, ফুল, পাখি, গাছপালা, কচ্ছপ ইত্যাদি।

অপরদিকে, উত্তম কুমার বসাকের ছবিতে চারপাশের চেনা জগত্। তবে সেই চেনা জগতকে তিনি দেখেন নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে। ক্যানভাসে তার প্রকাশও অনন্য ভঙ্গিতে। সীমিত রঙের ব্যবহার, পরিমিতি বোধ, চিত্রকল্প নির্মাণ সবকিছুই তাকে ছাপচিত্রে বিশেষ স্থান দিয়েছেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন  করেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। প্রদর্শনী নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্যালারির পরিচালক রুমী নোমান।

রফিকুন নবী বলেন, এ দুই শিল্পী সম্পূর্ণভাবে ছাপচিত্রের প্রতি নিবেদিত। তাদের ভাবনার প্রকাশ ভিন্ন, স্বতন্ত্র ও অনন্য। তাদের হাত ধরে ছাপচিত্র শিল্পের ধারা ঋদ্ধ হয়েছে। এ প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে সবার নজর কাড়বে।

রুমী নোমান বলেন, ছাপচিত্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এই দুই শিল্পীর যুগলবন্দি প্রদর্শনীর আয়োজন শিল্পরসিকদের আনন্দ দেবে সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে দেশের শিল্পীরাও ভারতের এই শিল্পীদের কাজের সঙ্গে, তাদের করণকৌশলের সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। সে কারণেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন। এ প্রদর্শনীতে অজিত শীলের ২৯টি আর উত্তম কুমার বসাকের ২১টি ছাপচিত্র স্থান পেয়েছে। চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

শিল্পাঙ্গনে দুই ভারতীয় শিল্পীর ছাপচিত্র প্রদর্শনী !

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ছাপচিত্রে সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে ভারতের দুই শিল্পী অজিত শীল ও উত্তম কুমার বসাক স্বতন্ত্র। এ দুই শিল্পীকে নিয়ে গতকাল শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘ডাইভারসিটি ইন ডুয়ালিটি’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এ দুই শিল্পীই শান্তিনিকেতনের ছাত্র এবং দুজনেই শান্তিনিকেতনে ছাপচিত্রের শিক্ষক। ছাপচিত্রের সঙ্গে আঙ্গিক প্রকরণের যোগ গভীর। এই দুই শিল্পী আঙ্গিক প্রয়োগে, করণকৌশলে নিজেদের স্বতন্ত্রতার কথা জানান দেন। সেই সঙ্গে নিজস্ব শিল্প ভাবনা শিল্পরসিকদের কাছে তাদের আলাদা করে চেনায়।

এদের মধ্যে অজিত শীলের নর-নারী একটি প্রধান বিষয়। নর-নারীর সম্পর্ক নানাভাবে ঘুরে ফিরে উঠে আসে তার ক্যানভাসে। একাধিক রঙের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তার ক্যানভাসে ফুটে ওঠে সামগ্রিক পটভূমি। মুন্সিয়ানার সঙ্গে রঙের ব্যবহারে তিনি এঁকে চলেন ময়ুর, ফুল, পাখি, গাছপালা, কচ্ছপ ইত্যাদি।

অপরদিকে, উত্তম কুমার বসাকের ছবিতে চারপাশের চেনা জগত্। তবে সেই চেনা জগতকে তিনি দেখেন নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে। ক্যানভাসে তার প্রকাশও অনন্য ভঙ্গিতে। সীমিত রঙের ব্যবহার, পরিমিতি বোধ, চিত্রকল্প নির্মাণ সবকিছুই তাকে ছাপচিত্রে বিশেষ স্থান দিয়েছেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন  করেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। প্রদর্শনী নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্যালারির পরিচালক রুমী নোমান।

রফিকুন নবী বলেন, এ দুই শিল্পী সম্পূর্ণভাবে ছাপচিত্রের প্রতি নিবেদিত। তাদের ভাবনার প্রকাশ ভিন্ন, স্বতন্ত্র ও অনন্য। তাদের হাত ধরে ছাপচিত্র শিল্পের ধারা ঋদ্ধ হয়েছে। এ প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে সবার নজর কাড়বে।

রুমী নোমান বলেন, ছাপচিত্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এই দুই শিল্পীর যুগলবন্দি প্রদর্শনীর আয়োজন শিল্পরসিকদের আনন্দ দেবে সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে দেশের শিল্পীরাও ভারতের এই শিল্পীদের কাজের সঙ্গে, তাদের করণকৌশলের সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। সে কারণেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন। এ প্রদর্শনীতে অজিত শীলের ২৯টি আর উত্তম কুমার বসাকের ২১টি ছাপচিত্র স্থান পেয়েছে। চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।