শিরোনাম :
Logo রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo কচুয়ার মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১ Logo দেশে উৎপাদিত হচ্ছে বিদেশি ফল রামবুটান Logo রাকসু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শেরপুর ডিসি অফিসের ড্রাইভারের নাম জড়িয়ে মাদক উদ্ধারের অপপ্রচার Logo টেকনাফ প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির প্রথম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি হচ্ছে: বিএনপি Logo বিশ্ববিখ্যাত ডিজে জাই উলফ আসছেন কক্সবাজারে Logo আ. লীগের ২ নেতাসহ টঙ্গীতে গ্রেপ্তার ৭

ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। বহু রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আগস্টে রূপ নেয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। টিকে থাকার সব চেষ্ট ব্যর্থ হলে ৫ আগষ্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। ছাত্র-জনতার দাবি, কিছুটা দেরি হলেও বিজয়ের সুফল পাবে বাংলাদেশের জনগণ।

তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন ৫ আগস্ট। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জুড়ে তখন মুক্তির বাতাস। সবার চোখে-মুখে শুধুই প্রাপ্তির আনন্দ। পুরো দেশের একক উৎসবে রূপ নিলো ছাত্র-জনতার বিজয়। মুখের কথায় খই ফোটানো প্রভাবশালীরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন আলো নিভিয়ে। এক মাস খুবই অল্প সময়। তবুও কী কোন প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্পর্শী?

শুরুটা কোটা সংস্কার দাবিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। মারমুখী সরকার, লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে তীব্রতা; শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন।

শাষকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী হাসিনা সরকার।

পুলিশের বেহিসেবি গুলির বিপরীতে তারুণ্যের অদম্য সাহস আর সীমাহীন মুক্তির নেশা। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে। রংপুরের আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন শত শত তরুণ-বিপ্লবী প্রাণের প্রতিচ্ছবি। এখনও কানে বাজে মুগ্ধের আহ্বান ‘পানি লাগবে পানি’।

এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস, একদিন সব ঠিক হবে, মিলবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। বহু রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আগস্টে রূপ নেয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। টিকে থাকার সব চেষ্ট ব্যর্থ হলে ৫ আগষ্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। ছাত্র-জনতার দাবি, কিছুটা দেরি হলেও বিজয়ের সুফল পাবে বাংলাদেশের জনগণ।

তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন ৫ আগস্ট। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জুড়ে তখন মুক্তির বাতাস। সবার চোখে-মুখে শুধুই প্রাপ্তির আনন্দ। পুরো দেশের একক উৎসবে রূপ নিলো ছাত্র-জনতার বিজয়। মুখের কথায় খই ফোটানো প্রভাবশালীরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন আলো নিভিয়ে। এক মাস খুবই অল্প সময়। তবুও কী কোন প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্পর্শী?

শুরুটা কোটা সংস্কার দাবিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। মারমুখী সরকার, লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে তীব্রতা; শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন।

শাষকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী হাসিনা সরকার।

পুলিশের বেহিসেবি গুলির বিপরীতে তারুণ্যের অদম্য সাহস আর সীমাহীন মুক্তির নেশা। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে। রংপুরের আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন শত শত তরুণ-বিপ্লবী প্রাণের প্রতিচ্ছবি। এখনও কানে বাজে মুগ্ধের আহ্বান ‘পানি লাগবে পানি’।

এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস, একদিন সব ঠিক হবে, মিলবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল।