মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

কড়ই গাছ কেটে ফেলায় পিসিপির প্রতিবাদ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক কড়ইতলা নামে খ্যাত কড়ই গাছটি কেটে ফেলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

শুক্রবার (১২ জুলাই) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

কড়ই গাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন, লোগাং গণহত্যার (১০ এপ্রিল ১৯৯২) প্রতিবাদে পিসিপির নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের কড়ইতলা হতে ২৮ এপ্রিল লোগাং অভিমুখে এক ঐতিহাসিক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পদযাত্রায় তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। কলেজের একাডেমী ভবন-০২ এর পাশে কড়ই গাছের পাদদেশ থেকে শুরু হওয়ায় স্থানটি পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক কড়ইতলা নামে পরিচিতি পায়।

তিনি আরো বলেন, পিসিপি নেতৃদ্বয় লোগাং লং মার্চ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজ তথা জনগণের আবেগ-অনুভূতির প্রতি সম্মান জানাতে ঐতিহাসিক স্মারকচিহ্ন হিসেবে কলেজ চত্বরে কর্তিত গাছটির গুড়ি বিশেষভাবে সংরক্ষণ এবং পাশে নতুন একটি উন্নত প্রজাতির কড়ই গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ৯ জুলাই ২০২৪ কলেজ প্রশাসন লোগাং লং মার্চের ঐতিহাসিক কড়ই গাছটি কেটে ফেলে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সঠিক ও সংগ্রামী ইতিহাস মুছে ফেলতে রাষ্ট্রযন্ত্র উঠেপড়ে লেগেছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ও সংগ্রামী ইতিহাস ভুলিয়ে রেখে সংগ্রাম বিমুখ করে রাখতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঐতিহাসিক বহু জায়গার নাম পরিবর্তন করে গৌরবময় অতীত মুছে ফেলার হীন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

কড়ই গাছ কেটে ফেলায় পিসিপির প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক কড়ইতলা নামে খ্যাত কড়ই গাছটি কেটে ফেলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

শুক্রবার (১২ জুলাই) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

কড়ই গাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন, লোগাং গণহত্যার (১০ এপ্রিল ১৯৯২) প্রতিবাদে পিসিপির নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের কড়ইতলা হতে ২৮ এপ্রিল লোগাং অভিমুখে এক ঐতিহাসিক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পদযাত্রায় তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। কলেজের একাডেমী ভবন-০২ এর পাশে কড়ই গাছের পাদদেশ থেকে শুরু হওয়ায় স্থানটি পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক কড়ইতলা নামে পরিচিতি পায়।

তিনি আরো বলেন, পিসিপি নেতৃদ্বয় লোগাং লং মার্চ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজ তথা জনগণের আবেগ-অনুভূতির প্রতি সম্মান জানাতে ঐতিহাসিক স্মারকচিহ্ন হিসেবে কলেজ চত্বরে কর্তিত গাছটির গুড়ি বিশেষভাবে সংরক্ষণ এবং পাশে নতুন একটি উন্নত প্রজাতির কড়ই গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ৯ জুলাই ২০২৪ কলেজ প্রশাসন লোগাং লং মার্চের ঐতিহাসিক কড়ই গাছটি কেটে ফেলে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সঠিক ও সংগ্রামী ইতিহাস মুছে ফেলতে রাষ্ট্রযন্ত্র উঠেপড়ে লেগেছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ও সংগ্রামী ইতিহাস ভুলিয়ে রেখে সংগ্রাম বিমুখ করে রাখতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঐতিহাসিক বহু জায়গার নাম পরিবর্তন করে গৌরবময় অতীত মুছে ফেলার হীন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।