স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে স্থাপন হতে যাওয়া স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীই নয়, এই বাতি স্থাপনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা খরচও ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে।

শনিবার (৬ জুলাই) বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে আলোকিত করতে ভারতের সহায়তায় ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে নগরীর রেডিসন ব্লু’তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট লাইটিং- দ্য ফাউন্ডেশন অব ফিউচার স্মার্ট চট্টগ্রাম শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়ক বাতির আলোক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। রাত্রিকালীন শহরের সৌন্দর্য, ব্যবসায়িক সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে কমবে কার্বন নির্গমন। এছাড়া শক্তি শোষণ সম্পর্কিত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাফিক ও পথচারীর জন্য রাস্তায় আলোর সুবিধা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সড়ক বাতির আলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬০ কিঃ মিঃ সড়কের আলোকায়ন হতে যাচ্ছে যা পরিবেশ বান্ধব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটি বাস্তবায়নের পর চট্টগ্রামের কোন অলি-গলি আলোকায়নের বাইরে থাকবে না। কারণ আমরা বড় রাস্তায় বর্তমানে বিদ্যমান বাতিগুলো দিয়ে নগরের অলি-গলির আলোকায়ন সহজে করে ফেলতে পারবো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার টোকেন অফ ফ্রেন্ডশীপ হিসেবে কাজ করবে এ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধবভাবে চট্টগ্রামকে আলোাকিত করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী যোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে ভারত। ভারতের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসী আলোকিত চট্টগ্রাম পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে এ প্রকল্প।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রকল্পের সফলতা কামনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে স্থাপন হতে যাওয়া স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীই নয়, এই বাতি স্থাপনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা খরচও ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে।

শনিবার (৬ জুলাই) বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে আলোকিত করতে ভারতের সহায়তায় ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে নগরীর রেডিসন ব্লু’তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট লাইটিং- দ্য ফাউন্ডেশন অব ফিউচার স্মার্ট চট্টগ্রাম শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়ক বাতির আলোক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। রাত্রিকালীন শহরের সৌন্দর্য, ব্যবসায়িক সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে কমবে কার্বন নির্গমন। এছাড়া শক্তি শোষণ সম্পর্কিত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাফিক ও পথচারীর জন্য রাস্তায় আলোর সুবিধা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সড়ক বাতির আলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬০ কিঃ মিঃ সড়কের আলোকায়ন হতে যাচ্ছে যা পরিবেশ বান্ধব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটি বাস্তবায়নের পর চট্টগ্রামের কোন অলি-গলি আলোকায়নের বাইরে থাকবে না। কারণ আমরা বড় রাস্তায় বর্তমানে বিদ্যমান বাতিগুলো দিয়ে নগরের অলি-গলির আলোকায়ন সহজে করে ফেলতে পারবো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার টোকেন অফ ফ্রেন্ডশীপ হিসেবে কাজ করবে এ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধবভাবে চট্টগ্রামকে আলোাকিত করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী যোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে ভারত। ভারতের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসী আলোকিত চট্টগ্রাম পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে এ প্রকল্প।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রকল্পের সফলতা কামনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।