শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:০১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জর তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় প্রতিবেশী যুবকের ছুরিকাঘাতে এমরান মিয়া (৩০) নামে এক দোকানি খুন হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পালানোর সময় স্থানীয় পাতারগাও ইসলামপুর বাজার থেকে অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

এমরান মিয়া ওই গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।আর লিটন মিয়া একই এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সামনের দোকানে মালামাল বেচতেন ইমরান।

এদিন সকালে লিটন মিয়া বাকিতে সিগারেট চাইলে দোকানে থাকা এমরানের মা মাজেদা বেগম লিটনকে বলেন, ‘তোর কাছে আগের বাকি টাকা পাই, তোরে বাকিতে সিগারেট দেওয়া যাবে না। ’

এ কথা বলার পর মাজেদার সঙ্গে ঝগড়া করেন লিটন।

 

তখন বাড়ির ভেতর থেকে এমরান বের হয়ে লিটনকে বলেন, ‘তুমি কেন আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করছো। ’ এ কথা বলার পরপরই লিটন মিয়া পাশে নিজের বাড়ি থেকে দা ও ছুরি নিয়ে আসেন। প্রথমে দা দিয়ে এমরানের মাথায় আঘাত করেন এবং পরে পেঁয়াজ কাটার ছুরি তার বুকে চালিয়ে দেন।

তখনই এমরান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় তার মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লিটন পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আবস্থায় এমরানকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চাঁন মিয়া বলেন, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক, এর আগেও সে এলাকায় অনেককেই আঘাত করেছে। এমরানের বাবা চোখে দেখেন না। তার ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। এই ঘটনায় তার পরিবারে শোকে মাতম চলছে।

 

এমরানের বাবা সাজিদ মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি দাবি করছি। যাতে করে আমার মতো আর কোনো বাবাকে সন্তানহারা হতে না হয়।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দা ও ছুরিসহ জড়িত লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এমরানের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:৪০:০১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জর তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় প্রতিবেশী যুবকের ছুরিকাঘাতে এমরান মিয়া (৩০) নামে এক দোকানি খুন হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পালানোর সময় স্থানীয় পাতারগাও ইসলামপুর বাজার থেকে অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

এমরান মিয়া ওই গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।আর লিটন মিয়া একই এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সামনের দোকানে মালামাল বেচতেন ইমরান।

এদিন সকালে লিটন মিয়া বাকিতে সিগারেট চাইলে দোকানে থাকা এমরানের মা মাজেদা বেগম লিটনকে বলেন, ‘তোর কাছে আগের বাকি টাকা পাই, তোরে বাকিতে সিগারেট দেওয়া যাবে না। ’

এ কথা বলার পর মাজেদার সঙ্গে ঝগড়া করেন লিটন।

 

তখন বাড়ির ভেতর থেকে এমরান বের হয়ে লিটনকে বলেন, ‘তুমি কেন আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করছো। ’ এ কথা বলার পরপরই লিটন মিয়া পাশে নিজের বাড়ি থেকে দা ও ছুরি নিয়ে আসেন। প্রথমে দা দিয়ে এমরানের মাথায় আঘাত করেন এবং পরে পেঁয়াজ কাটার ছুরি তার বুকে চালিয়ে দেন।

তখনই এমরান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় তার মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লিটন পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আবস্থায় এমরানকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চাঁন মিয়া বলেন, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক, এর আগেও সে এলাকায় অনেককেই আঘাত করেছে। এমরানের বাবা চোখে দেখেন না। তার ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। এই ঘটনায় তার পরিবারে শোকে মাতম চলছে।

 

এমরানের বাবা সাজিদ মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি দাবি করছি। যাতে করে আমার মতো আর কোনো বাবাকে সন্তানহারা হতে না হয়।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দা ও ছুরিসহ জড়িত লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এমরানের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।