শিরোনাম :
Logo ঘোনা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মীসভা ও ৩১ দফা ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত! Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’ উদযাপন! Logo চাঁদপুর- ২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. তোফাজ্জল হোসেন মতলবকে জাপানের মতো করে সাজাতে চায় Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর নিয়মিত চেকপোস্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট অভিযান Logo মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ Logo জীবননগরে আন্ত:জেলা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান সাগর ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার Logo পঁচিশ বাসে করে সাত ধাপে ক্যাম্পাসে আসছে শিক্ষার্থীরা Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু

এমপি আনার খুনের তদন্তে হাসপাতালে কলকাতার সিআইডি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • ৮১৫ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্স :

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গের ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তদন্তে গেছে কলকাতার সিআইডি।

এমপি আনার ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেন। সে ব্যাপারে খোঁজ নিতেই শুক্রবার সিআইডি সেখানে যান।
তারা জানতে পেরেছেন, মে মাসে কলকাতায় আসার পর আনোয়ারুল আজীম আনার ওই হাসপাতালে যাননি। তবে তার আগে এ বছর আরও দু’বার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় ওই হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে সিআইডি।

বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে কলকাতার সিআইডি জানতে পেরেছে, গত ১৯ জানুয়ারি আনোয়ারুল কলকাতায় এসেছিলেন। কদিন পরেই দেশে ফিরে আসেন। ১৮ মার্চ আবার কলকাতায় আসেন। একদিন থেকেই দেশে ফিরে আসেন আবার।

এমপি আনার হত্যার তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছে ডিবির দল
শিলাস্তি রিসিভ করার পর আর পাওয়া যায়নি এমপি আনারকে
খুনের তদন্তে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। নানা কথা বলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে সে। পুরো বিষয়টি সিয়াম নামে আরেক অভিযুক্ত সব জানে বলেও দাবি করছে সে। সিয়াম ঘটনার পর থেকে পলাতক। জিহাদের দাবি, আমানুল্লাহর নির্দেশেই সিয়াম ঘটনার দেড় মাস আগে তাকে মুম্বাই থেকে রাজারহাটে নিয়ে এসেছিল। সেখানে মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামানের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল তাকে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তা‌র হওয়া আমানুল্লাহ এবং শিলাস্তি রহমানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

সিয়ামের খোঁজে ইতোমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি। তদন্তকারীদের অনেকেই প্রায় নিশ্চিত যে, সিয়াম নেপালে লুকিয়ে আছে। সিয়ামকে ধরতে নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে কলকাতা সিআইডি।

পুলিশের একাংশের মতে, সিয়াম বাংলাদেশি নাগরিক। সে দেশের পুলিশও তাকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছে। নিয়ম অনুযায়ী, সিয়াম নেপালে গ্রেপ্তা‌র হলে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এদিকে, আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন সম্পর্কে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অন্ধকার জগতের কিছু বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে এমপি আজীমের বিরোধ চলছিল। সে কারণেই এই খুন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘোনা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মীসভা ও ৩১ দফা ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত!

এমপি আনার খুনের তদন্তে হাসপাতালে কলকাতার সিআইডি

আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্স :

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গের ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তদন্তে গেছে কলকাতার সিআইডি।

এমপি আনার ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেন। সে ব্যাপারে খোঁজ নিতেই শুক্রবার সিআইডি সেখানে যান।
তারা জানতে পেরেছেন, মে মাসে কলকাতায় আসার পর আনোয়ারুল আজীম আনার ওই হাসপাতালে যাননি। তবে তার আগে এ বছর আরও দু’বার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় ওই হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে সিআইডি।

বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে কলকাতার সিআইডি জানতে পেরেছে, গত ১৯ জানুয়ারি আনোয়ারুল কলকাতায় এসেছিলেন। কদিন পরেই দেশে ফিরে আসেন। ১৮ মার্চ আবার কলকাতায় আসেন। একদিন থেকেই দেশে ফিরে আসেন আবার।

এমপি আনার হত্যার তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছে ডিবির দল
শিলাস্তি রিসিভ করার পর আর পাওয়া যায়নি এমপি আনারকে
খুনের তদন্তে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। নানা কথা বলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে সে। পুরো বিষয়টি সিয়াম নামে আরেক অভিযুক্ত সব জানে বলেও দাবি করছে সে। সিয়াম ঘটনার পর থেকে পলাতক। জিহাদের দাবি, আমানুল্লাহর নির্দেশেই সিয়াম ঘটনার দেড় মাস আগে তাকে মুম্বাই থেকে রাজারহাটে নিয়ে এসেছিল। সেখানে মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামানের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল তাকে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তা‌র হওয়া আমানুল্লাহ এবং শিলাস্তি রহমানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

সিয়ামের খোঁজে ইতোমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি। তদন্তকারীদের অনেকেই প্রায় নিশ্চিত যে, সিয়াম নেপালে লুকিয়ে আছে। সিয়ামকে ধরতে নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে কলকাতা সিআইডি।

পুলিশের একাংশের মতে, সিয়াম বাংলাদেশি নাগরিক। সে দেশের পুলিশও তাকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছে। নিয়ম অনুযায়ী, সিয়াম নেপালে গ্রেপ্তা‌র হলে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এদিকে, আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন সম্পর্কে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অন্ধকার জগতের কিছু বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে এমপি আজীমের বিরোধ চলছিল। সে কারণেই এই খুন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।