শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

গ্যাস্ট্রিকের অস্বিস্তিকর সমস্যার সমাধান !

  • আপডেট সময় : ১১:২২:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ আগস্ট ২০২০
  • ৭৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা ভালোই জানেন বিষয়টি কতোটা অস্বিস্তিকর। এটি কিন্তু আসলে কোনো রোগ নয়। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।

অন্য যেকোনো রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবে না। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি এসিডিটি মুক্ত থাকতে পারবেন।

আসুন আমরা জেনে নিই- গ্যাস্ট্রিক  কি এবং কেন হয়? আর যেভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

গ্যাস্ট্রিক আসলে কি?

বৈজ্ঞানিকভাবে যে জিনিসটিকে গ্যাস্ট্রিক বলা হয়, সেটির আসল নাম হচ্ছে পেপটিক আলসার ডিজিজ বা পিইউডি। পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস— এই তিনটির যেকোনো জায়গায় যদি অ্যাসিডের কারণে ক্ষত হয়, এটাকে বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ। এবং যখন বলা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, তার পেপটিক আলসার রয়েছে। এটা পাকস্থলী বা ডিওডেনামে হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কেন হয়?

গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর বেলায় বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে বা ভাজা-পোড়া-তেলজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। নন-আলসার ডিসপেপসিয়া, এটাতে গ্যাস হয় বেশি, জ্বালা হয় বেশি, পেট ফুলে থাকে বেশি—সেটাতে ভাজা-পোড়া সাংঘাতিক ক্ষতিকর। তবে যদি এটি আলসার হয়ে থাকে, যেহেতু আলসারের একটি চিকিৎসা রয়েছে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াও এরা ভালো হয়ে যায়, এ জন্য এখানে অনেক বেশি সমস্যা হয় না। তবে ওই খাবারগুলো লক্ষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ব্যথা রয়েছে, তার ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার জ্বলা রয়েছে, সেটা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই বিষয়গুলো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আজকাল চিকিৎসার বিষয়টি এমন দিকে যাচ্ছে যে ব্যক্তির যা মনে চায় তাই খাবে, চিকিৎসক শুধু ওষুধ দিয়ে ভালো করে দেবে। খাওয়ার সীমাবদ্ধতা ছাড়া চিকিৎসা করতে চাই। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এমন চিকিৎসা এসে যাবে, যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে খাবারের বেলায় বাছতে হবে না।

নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবারের কথা বলতে গেলে, রিফ্লাক্স বলে মানুষের শরীরে একটি জিনিস রয়েছে, আমি যদি প্রতিদিন ২টার সময় ভাত খাই, একদিন যদি না খাই সে সময়ে পেট অ্যাসিডে ভর্তি হয়ে যাবে। তবে আমি যদি সেখানে দেরি করে খাই, আমার লক্ষণটা বেড়ে যাবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার উপকার রয়েছে। আমাদের শরীর একটি অভ্যাসের মধ্যে চলে যায়। অভ্যাসের ব্যতিক্রম হলেই সমস্যা হয়। তবে ডিওডেনাল আলসার যেটা, সেখানে যদি প্রায় প্রায় খাবার দেয়া হয়, তাদের লক্ষণগুলো কমতে সাহায্য হয়। তবে এখন যেই চিকিৎসা পেপটিক আলসারের রয়েছে, এখানে খাওয়ার বিষয়ে বাছতে হবে না। এর পরও আমরা বলি, আপনার যেটা খেলে অসুবিধা মনে হয়, সেটি এড়িয়ে যান।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার উপায়:

আদার ব্যবহার : আদাতে এমন কিছু উপাদান আছে যার কারণে আপনার বদ হজম, জ্বালা পোড়া, বুকে ব্যথা কমে যেতে পারে। দেখুন এটির ব্যবহার। যেমন :

আদা কুচি কুচি করে কেটে পানির মধ্যে মিশিয়ে তারপর পানি ফুটান। পানি ফুটানো হলে তা ১০ মিনিটের মতো নামিয়ে রাখুন এবং দিনে ২/৩ বার চায়ের মতো পান করুন । এটির সঙ্গে মধু মিশালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

> আদা বেটে রস করুন এবং এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দুপুর ও রাতের খাবারের আগে খেয়ে নিন।

আপনার যখন ইচ্ছা হয় তখন একটু আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর ঠান্ডাও থাকবে।

দইয়ের ব্যবহার : আপনি প্রতিদিন একটু করে দই খান। এটি পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করে । ব্যাকটেরিয়া হলো গ্যাস্ট্রিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। কলা, মধু আর দই একসঙ্গে মিশিয়ে এটি প্রতিদিন খেতে পারেন।

আলুর ব্যবহার : গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আলুর রসের ব্যবহার করতে পারেন। যেমন :

আলু বেটে রস করে নিন। এরপর আলুর রস আর গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাওয়ার দু ঘন্টা আগে খেয়ে নিন।

পানির ব্যবহার : সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পানির ব্যবহার। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একদম খালি পেটে পুরো পেট ভর্তী করে পানি পান করুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ পার করলেই উত্তম ফল পাবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

গ্যাস্ট্রিকের অস্বিস্তিকর সমস্যার সমাধান !

আপডেট সময় : ১১:২২:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা ভালোই জানেন বিষয়টি কতোটা অস্বিস্তিকর। এটি কিন্তু আসলে কোনো রোগ নয়। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।

অন্য যেকোনো রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবে না। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি এসিডিটি মুক্ত থাকতে পারবেন।

আসুন আমরা জেনে নিই- গ্যাস্ট্রিক  কি এবং কেন হয়? আর যেভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

গ্যাস্ট্রিক আসলে কি?

বৈজ্ঞানিকভাবে যে জিনিসটিকে গ্যাস্ট্রিক বলা হয়, সেটির আসল নাম হচ্ছে পেপটিক আলসার ডিজিজ বা পিইউডি। পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস— এই তিনটির যেকোনো জায়গায় যদি অ্যাসিডের কারণে ক্ষত হয়, এটাকে বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ। এবং যখন বলা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, তার পেপটিক আলসার রয়েছে। এটা পাকস্থলী বা ডিওডেনামে হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কেন হয়?

গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর বেলায় বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে বা ভাজা-পোড়া-তেলজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। নন-আলসার ডিসপেপসিয়া, এটাতে গ্যাস হয় বেশি, জ্বালা হয় বেশি, পেট ফুলে থাকে বেশি—সেটাতে ভাজা-পোড়া সাংঘাতিক ক্ষতিকর। তবে যদি এটি আলসার হয়ে থাকে, যেহেতু আলসারের একটি চিকিৎসা রয়েছে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াও এরা ভালো হয়ে যায়, এ জন্য এখানে অনেক বেশি সমস্যা হয় না। তবে ওই খাবারগুলো লক্ষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ব্যথা রয়েছে, তার ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার জ্বলা রয়েছে, সেটা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই বিষয়গুলো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আজকাল চিকিৎসার বিষয়টি এমন দিকে যাচ্ছে যে ব্যক্তির যা মনে চায় তাই খাবে, চিকিৎসক শুধু ওষুধ দিয়ে ভালো করে দেবে। খাওয়ার সীমাবদ্ধতা ছাড়া চিকিৎসা করতে চাই। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এমন চিকিৎসা এসে যাবে, যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে খাবারের বেলায় বাছতে হবে না।

নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবারের কথা বলতে গেলে, রিফ্লাক্স বলে মানুষের শরীরে একটি জিনিস রয়েছে, আমি যদি প্রতিদিন ২টার সময় ভাত খাই, একদিন যদি না খাই সে সময়ে পেট অ্যাসিডে ভর্তি হয়ে যাবে। তবে আমি যদি সেখানে দেরি করে খাই, আমার লক্ষণটা বেড়ে যাবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার উপকার রয়েছে। আমাদের শরীর একটি অভ্যাসের মধ্যে চলে যায়। অভ্যাসের ব্যতিক্রম হলেই সমস্যা হয়। তবে ডিওডেনাল আলসার যেটা, সেখানে যদি প্রায় প্রায় খাবার দেয়া হয়, তাদের লক্ষণগুলো কমতে সাহায্য হয়। তবে এখন যেই চিকিৎসা পেপটিক আলসারের রয়েছে, এখানে খাওয়ার বিষয়ে বাছতে হবে না। এর পরও আমরা বলি, আপনার যেটা খেলে অসুবিধা মনে হয়, সেটি এড়িয়ে যান।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার উপায়:

আদার ব্যবহার : আদাতে এমন কিছু উপাদান আছে যার কারণে আপনার বদ হজম, জ্বালা পোড়া, বুকে ব্যথা কমে যেতে পারে। দেখুন এটির ব্যবহার। যেমন :

আদা কুচি কুচি করে কেটে পানির মধ্যে মিশিয়ে তারপর পানি ফুটান। পানি ফুটানো হলে তা ১০ মিনিটের মতো নামিয়ে রাখুন এবং দিনে ২/৩ বার চায়ের মতো পান করুন । এটির সঙ্গে মধু মিশালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

> আদা বেটে রস করুন এবং এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দুপুর ও রাতের খাবারের আগে খেয়ে নিন।

আপনার যখন ইচ্ছা হয় তখন একটু আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর ঠান্ডাও থাকবে।

দইয়ের ব্যবহার : আপনি প্রতিদিন একটু করে দই খান। এটি পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করে । ব্যাকটেরিয়া হলো গ্যাস্ট্রিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। কলা, মধু আর দই একসঙ্গে মিশিয়ে এটি প্রতিদিন খেতে পারেন।

আলুর ব্যবহার : গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আলুর রসের ব্যবহার করতে পারেন। যেমন :

আলু বেটে রস করে নিন। এরপর আলুর রস আর গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাওয়ার দু ঘন্টা আগে খেয়ে নিন।

পানির ব্যবহার : সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পানির ব্যবহার। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একদম খালি পেটে পুরো পেট ভর্তী করে পানি পান করুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ পার করলেই উত্তম ফল পাবেন।