স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এসে শুকুর আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কালীগঞ্জ পৌরসভার কাশিপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু শুকুর আলী কালীগঞ্জের ঘোপপাড়া গ্রামের মৃত্যু মসলেম উদ্দীনের ছেলে। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ির একটি তেল ফ্যাক্টরীর নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিস রোগেও ভুগছিলেন। ঢাকা থেকে মৃত ব্যক্তির সাথে আসা তার ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, তারা দুই ভাই একসাথে যাত্রাবাড়ি তীর সয়াবিন তেলের ফ্যাক্টরী তে কাজ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। হঠাৎ গত শুক্রবার তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর রোববার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে বুধবার রাত ২টায় এ্যাম্বুলেন্সে কালীগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে তিনি মারা যান। কাশিপুর গ্রামের মৃত্যু ব্যক্তির শ্যালকের ছেলে সবুজ হোসেন জানান, তিনি ডায়াবেটিস রোগে আগে থেকেই ভুগছিলেন। বুধবার রাতে তিনি ঢাকা থেকে তাদের বাসায় এসেছেন। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। সকালে যশোরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে তিনি মারা গেছেন। সকালে হাসপাতাল থেকে কয়েকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা জানান, মৃত্যু ব্যক্তির কিছু করোনা উপসর্গ ছিল। আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। রেজাল্টেন জন্য অপেক্ষা করছি। দেখা যাক কি হয়। তিনি আরো জানান, আমাদের মেডিক্যাল টিম ও দাফন কমিটি সাথে আছেন। দাফন কমিটি কাজ করছেন। তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাযা শেষে কবর দেয়া হবে। করোনার উপসর্গ নিয়ে শুকুর আলী কাশিপুর গ্রামের যে বাড়িতে মারা গেছেন সেই বাড়িটি কি লোক ডাউন করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখনো লডডাউন করা হয়নি, নমুনা রেজাল্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে”। কালীগঞ্জর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেছেন। তিনি বুধবার রাতে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জে আসেন। তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা চলছে। এছাড়া মেডিক্যাল টিম তার নমুনা সংগ্রহ করেছে।