ইমাম বিমান:
সারাবিশ্ব যখন (কোভিট-১৯) করোনা আক্রান্তের ভয়ে অধিকাংশ রাষ্ট্রে লক ডাউন চলছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার কতৃক দেশব্যাপী লক ডাউন করে দিয়েছে। বন্ধ হয়েছে গনপরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা। সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশ লক ডাউন করায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বসবাসকারী যারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জীবিকা নির্বাহ করে জীবন ধারন করে থাকে। সেই তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া সম্প্রদায়ও আজ ঘরে বসে দিন গুনছে। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়ের পথ আর যে কারনে তারা আজ অসহায়াত্ব জীবন যাপন করছে। দেশের মধ্যে বন্যা, ঘূর্নিঝড় অথবা কোন প্রকার দূর্যোগ আসলে দেশের তৃতীয় লিঙ্গ তথা হিজড়া সম্প্রাদায় বঞ্চিত থেকেই যায় অধিকাংশ সময়। আর এ চলমান লক ডাউনে সরকার কতৃক দেশে গরীবদের সহযোগীতা করার ঘোষনা আসলেও দেশের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গ তথা হিজড়াদের কি কোন ব্যবস্থা করেছেন জনবান্ধব এ সরকার ? প্রশ্নটা ছিলো রাজশাহী জেলার ” দিনের আলো হিজড়া সংঘ ” সভাপতি মোহনার।
এ বিষয় রাজশাহী জেলার ” দিনের আলো হিজড়া সংঘ ” সভাপতি মোহনার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কান্না জর্জরিত কন্ঠে জানান, বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা ও উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গ তথা আমাদের হিজড়া রয়েছে। অনেক সময় দেশের বিভিন্ন জেলা বিভিন্ন সময় বন্যা, ঘূর্নিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আর সে প্রতিকুল অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ, গরীবদের মাঝে সরকার ত্রান বিতরন করে থাকলেও আমরা হিজড়ারা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তা থেকে
অধিকাংশ সময়ই বঞ্চিত থেকেই যাই। আজ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা হিজড়াও তো গৃহবন্দী। না পাড়ছি কারো দ্বারে যেতে আর না পারছি আয় করতে, আমাদের একমাত্র আয়ের পথ এখন বন্ধ। আমাদের নেই কোন সঞ্চয় যা দিয়ে আমরা পরবর্তি দিনগুলো কি খাব ? আজ আপনাদের মাধ্যমে আমাদের রাজশাহী জেলার সন্মানিত জেলা প্রশাসক হামিদুল হক স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, আমারা তৃতীয় লিঙ্গ হলেও মানুষ দয়াকরে আমাদেরকে বাঁচান। সেই সাথে জেলা প্রশাসক মহদ্বয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। তিনি অবশ্যই হিজড়া সম্প্রদায়ের দিক দৃষ্টি দিবেন।