ঢামেকে রোগীর স্বজন গ্রেপ্তার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর, চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে এক রোগীর স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. সজিব।
মূলত রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যকার বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাসকিনা নামের হাজারীবাগের এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ফারহানা আফরিন নামে একজন নারী চিকিৎসকের বাদানুবাদ থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনায় গ্লাস ভেঙে ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডা. শর্মিষ্ঠা দাসের ডান হাতের কিছু অংশ কেটে যায়। এর প্রতিবাদে চিকিৎসা বন্ধ রেখে জরুরি বিভাগের গেট আটকে দেন তারা।

এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগের মূল ফটকে জড়ো হন এবং ওই স্বজনদের কয়েকজনকে দায়ী করে তাদের আটক ও বিচার করার দাবি জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা গেট বন্ধ করে দেন ও সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় হাসপাতালের প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা করে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানায় বিষয়টি জানায়। রাত ১১টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ রোগীর দুজন স্বজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অন্যজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।

তিনি  বলেন, ‘হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। একজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে মারধর এবং হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢামেকে রোগীর স্বজন গ্রেপ্তার !

আপডেট সময় : ১২:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর, চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে এক রোগীর স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. সজিব।
মূলত রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যকার বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাসকিনা নামের হাজারীবাগের এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ফারহানা আফরিন নামে একজন নারী চিকিৎসকের বাদানুবাদ থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনায় গ্লাস ভেঙে ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডা. শর্মিষ্ঠা দাসের ডান হাতের কিছু অংশ কেটে যায়। এর প্রতিবাদে চিকিৎসা বন্ধ রেখে জরুরি বিভাগের গেট আটকে দেন তারা।

এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগের মূল ফটকে জড়ো হন এবং ওই স্বজনদের কয়েকজনকে দায়ী করে তাদের আটক ও বিচার করার দাবি জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা গেট বন্ধ করে দেন ও সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় হাসপাতালের প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা করে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানায় বিষয়টি জানায়। রাত ১১টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ রোগীর দুজন স্বজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অন্যজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।

তিনি  বলেন, ‘হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। একজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে মারধর এবং হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’