শিরোনাম :
Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের Logo কাতারে উচ্চ পর্যায়ের মধ্যাহ্নভোজে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা Logo জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণের চক্রান্ত চলছে: রিজভী Logo ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন আমির Logo পুলিশের ঊর্ধ্বতন বড় কর্মকর্তা বরখাস্ত

সম্পর্কে ‘ঝুলে’ থাকবেন না! ‘ঝুলিয়ে রাখা’ সম্পর্কের পাঁচটি লক্ষণ !

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কিছু কিছু সম্পর্ক ভাল হয়, কিছু খারাপ আর কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যা ভাল বা মন্দের বাইরে। সেভাবে দেখতে গেলে হয়তো সেগুলো সম্পর্কই নয়, শুধুই এক ধরনের ঝুলে থাকা। এই ঝুলে থাকতে থাকতে অনেক সময় কয়েক বছর কেটে যায় কিন্তু সম্পর্ক আর কোথাও পৌঁছয় না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ঝুলে থাকতে পছন্দ করেন এই আশায় যে কোনওদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, তাঁদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যাঁরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্লফ্রেন্ড’ তাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন কি না, তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন।

কেউ আপনাকে সত্যিই ভালবাসে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে যেতে চায় নাকি এমনিই বাজিয়ে দেখার জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে সেটা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। নীচে রইল তেমন পাঁচটি লক্ষণ—

১) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল। এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।

২) লং ডিসটান্স সম্পর্ক না হলে নিয়মিত দেখা করাটা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিত-টা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একই শহরে থেকেও একমাস ধরে আর সময় করতে না পারেন, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।

৩) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল ‘হঠাৎ ভীষণ ভাল লাগছে’ সিনড্রোম। (মনস্তত্ত্বের পাঠক্রমে এমন কোনও সিনড্রোমের কথা লেখা নেই। এটি শুধুমাত্র লেখার খাতিরে)। ধরুন দু’তিনদিন প্রচুর কথা বললেন সেই ব্যক্তি। তার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন, টেক্সট অথবা ডেটে যাওয়া। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনওদিন কোনও সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।

৪) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনওই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করাতে চান না। এমনকী ডেটে যাওয়ার সময়েও তাঁরা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৫) যাঁরা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাঁদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তাঁরা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন যে তাঁরা কী করছেন অথচ তাঁরা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কাউকে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন। যদি সত্যিই কেউ কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন যোগাযোগ না করতে পারেন তবে তিনি শান্তভাবে তাঁর ভালবাসার মানুষকে বোঝাবেন অসুবিধার কথা, উল্টে তাঁকে আরও বেশি কষ্ট দেবেন না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি

সম্পর্কে ‘ঝুলে’ থাকবেন না! ‘ঝুলিয়ে রাখা’ সম্পর্কের পাঁচটি লক্ষণ !

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

কিছু কিছু সম্পর্ক ভাল হয়, কিছু খারাপ আর কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যা ভাল বা মন্দের বাইরে। সেভাবে দেখতে গেলে হয়তো সেগুলো সম্পর্কই নয়, শুধুই এক ধরনের ঝুলে থাকা। এই ঝুলে থাকতে থাকতে অনেক সময় কয়েক বছর কেটে যায় কিন্তু সম্পর্ক আর কোথাও পৌঁছয় না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ঝুলে থাকতে পছন্দ করেন এই আশায় যে কোনওদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, তাঁদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যাঁরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্লফ্রেন্ড’ তাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন কি না, তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন।

কেউ আপনাকে সত্যিই ভালবাসে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে যেতে চায় নাকি এমনিই বাজিয়ে দেখার জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে সেটা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। নীচে রইল তেমন পাঁচটি লক্ষণ—

১) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল। এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।

২) লং ডিসটান্স সম্পর্ক না হলে নিয়মিত দেখা করাটা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিত-টা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একই শহরে থেকেও একমাস ধরে আর সময় করতে না পারেন, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।

৩) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল ‘হঠাৎ ভীষণ ভাল লাগছে’ সিনড্রোম। (মনস্তত্ত্বের পাঠক্রমে এমন কোনও সিনড্রোমের কথা লেখা নেই। এটি শুধুমাত্র লেখার খাতিরে)। ধরুন দু’তিনদিন প্রচুর কথা বললেন সেই ব্যক্তি। তার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন, টেক্সট অথবা ডেটে যাওয়া। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনওদিন কোনও সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।

৪) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনওই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করাতে চান না। এমনকী ডেটে যাওয়ার সময়েও তাঁরা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৫) যাঁরা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাঁদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তাঁরা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন যে তাঁরা কী করছেন অথচ তাঁরা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কাউকে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন। যদি সত্যিই কেউ কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন যোগাযোগ না করতে পারেন তবে তিনি শান্তভাবে তাঁর ভালবাসার মানুষকে বোঝাবেন অসুবিধার কথা, উল্টে তাঁকে আরও বেশি কষ্ট দেবেন না।