শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

সম্পর্কে ‘ঝুলে’ থাকবেন না! ‘ঝুলিয়ে রাখা’ সম্পর্কের পাঁচটি লক্ষণ !

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কিছু কিছু সম্পর্ক ভাল হয়, কিছু খারাপ আর কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যা ভাল বা মন্দের বাইরে। সেভাবে দেখতে গেলে হয়তো সেগুলো সম্পর্কই নয়, শুধুই এক ধরনের ঝুলে থাকা। এই ঝুলে থাকতে থাকতে অনেক সময় কয়েক বছর কেটে যায় কিন্তু সম্পর্ক আর কোথাও পৌঁছয় না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ঝুলে থাকতে পছন্দ করেন এই আশায় যে কোনওদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, তাঁদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যাঁরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্লফ্রেন্ড’ তাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন কি না, তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন।

কেউ আপনাকে সত্যিই ভালবাসে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে যেতে চায় নাকি এমনিই বাজিয়ে দেখার জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে সেটা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। নীচে রইল তেমন পাঁচটি লক্ষণ—

১) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল। এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।

২) লং ডিসটান্স সম্পর্ক না হলে নিয়মিত দেখা করাটা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিত-টা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একই শহরে থেকেও একমাস ধরে আর সময় করতে না পারেন, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।

৩) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল ‘হঠাৎ ভীষণ ভাল লাগছে’ সিনড্রোম। (মনস্তত্ত্বের পাঠক্রমে এমন কোনও সিনড্রোমের কথা লেখা নেই। এটি শুধুমাত্র লেখার খাতিরে)। ধরুন দু’তিনদিন প্রচুর কথা বললেন সেই ব্যক্তি। তার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন, টেক্সট অথবা ডেটে যাওয়া। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনওদিন কোনও সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।

৪) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনওই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করাতে চান না। এমনকী ডেটে যাওয়ার সময়েও তাঁরা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৫) যাঁরা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাঁদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তাঁরা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন যে তাঁরা কী করছেন অথচ তাঁরা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কাউকে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন। যদি সত্যিই কেউ কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন যোগাযোগ না করতে পারেন তবে তিনি শান্তভাবে তাঁর ভালবাসার মানুষকে বোঝাবেন অসুবিধার কথা, উল্টে তাঁকে আরও বেশি কষ্ট দেবেন না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

সম্পর্কে ‘ঝুলে’ থাকবেন না! ‘ঝুলিয়ে রাখা’ সম্পর্কের পাঁচটি লক্ষণ !

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

কিছু কিছু সম্পর্ক ভাল হয়, কিছু খারাপ আর কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যা ভাল বা মন্দের বাইরে। সেভাবে দেখতে গেলে হয়তো সেগুলো সম্পর্কই নয়, শুধুই এক ধরনের ঝুলে থাকা। এই ঝুলে থাকতে থাকতে অনেক সময় কয়েক বছর কেটে যায় কিন্তু সম্পর্ক আর কোথাও পৌঁছয় না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ঝুলে থাকতে পছন্দ করেন এই আশায় যে কোনওদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, তাঁদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যাঁরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্লফ্রেন্ড’ তাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন কি না, তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন।

কেউ আপনাকে সত্যিই ভালবাসে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে যেতে চায় নাকি এমনিই বাজিয়ে দেখার জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে সেটা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। নীচে রইল তেমন পাঁচটি লক্ষণ—

১) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল। এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।

২) লং ডিসটান্স সম্পর্ক না হলে নিয়মিত দেখা করাটা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিত-টা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একই শহরে থেকেও একমাস ধরে আর সময় করতে না পারেন, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।

৩) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল ‘হঠাৎ ভীষণ ভাল লাগছে’ সিনড্রোম। (মনস্তত্ত্বের পাঠক্রমে এমন কোনও সিনড্রোমের কথা লেখা নেই। এটি শুধুমাত্র লেখার খাতিরে)। ধরুন দু’তিনদিন প্রচুর কথা বললেন সেই ব্যক্তি। তার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন, টেক্সট অথবা ডেটে যাওয়া। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনওদিন কোনও সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।

৪) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনওই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করাতে চান না। এমনকী ডেটে যাওয়ার সময়েও তাঁরা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৫) যাঁরা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাঁদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তাঁরা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন যে তাঁরা কী করছেন অথচ তাঁরা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কাউকে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন। যদি সত্যিই কেউ কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন যোগাযোগ না করতে পারেন তবে তিনি শান্তভাবে তাঁর ভালবাসার মানুষকে বোঝাবেন অসুবিধার কথা, উল্টে তাঁকে আরও বেশি কষ্ট দেবেন না।