মোঃ সুমন আলী খান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: অষ্টগ্রাম থেকে প্রেমের টানে পালিয়ে আসা স্কুলছাত্রী ও তার প্রেমিক শিক্ষককে হবিগঞ্জ শহর থেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় শহরের ইনাতাবাদ এলাকার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাইয়ের বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার আদমপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র আদমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মোহাম্মদ আলী (৩০) এর কাছে প্রাইভেট পড়তো ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী কৈরাল গ্রামের আইয়ূব আলীর কন্যা সিমু আক্তার (১৭)। এ সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায়ই মোহাম্মদ আলী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিষয়টি আচঁ করতে পারে সিমুর পরিবার। এক পর্যায়ে সিমুর প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরও তাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। গত ১৪ ফেব্র“য়ারি প্রেমিক যুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। তারা হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকার ওই বাসা ৫ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। সিমু এখানে এসে জানতে পারে মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রী ও ৪টি সন্তান রয়েছে। এক পর্যায়ে সিমু চলে যেতে চায়। পরে কৌশলে মোহাম্মদ আলী তাকে আটকে রেখে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। এদিকে সিমু ফোনে তার মাকে বিষয়টি জানালে তার মা অষ্টগ্রাম থানায় অভিযোগ দিলে এসআই আসাদুর রহমান গতকাল শুক্রবার হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে নিয়ে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় প্রেমিক যুগলকে অষ্টগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আটক সিমু জানায়, তাকে প্রলোভন দিয়ে নিয়ে এসেছে। সে জানতো না মোহাম্মদ আলী বিবাহিত। সে প্রতারিত হয়েছে। মোহাম্মদ আলী বিবাহিত স্বীকার করে জানায়, সিমুর পরিবারের অভিযোগের কারণে তার চাকুরী চলে গেছে। সে সিমুকে নিয়ে আসেনি। নিজেই এসেছে। অষ্টগ্রাম থানার এসআই আসাদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে।