সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

মহেশপুরের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রেমিক পুলিশ কনষ্টবলকে ১০ দিনের রিমান্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আলোচিত মুসা মিয়ার স্ত্রী রিপ্না খাতুন ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল আলিমের(৩২) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। আব্দুল আলিম যাদবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, সোমবার দেবহাটার ইছামতী নদীর ছুটিপুর ও কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর বসন্তপুর থেকে যথাক্রমে মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মা রিপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইসরাফিল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মুছা মিয়া। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান, সাড়ে ৫ বছর আগে রিপ্না খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও একই গ্রামের আলীমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আলীম (কং নং-৯৫২৮) বর্তমানে ঢাকার গুলশানে ডিপোমেট্রিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। ছুটিতে থাকা আলীমকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে। পূর্বের প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে ইতিপূর্বে আলিম কালিগঞ্জ থানায় কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত কোন ব্যক্তির বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লাশ সনাক্ত কালে পুলিশকে অবহিত করেন মুছা মিয়া। প্রাথমিক তদন্তে রিপ্না ও মুন্নিকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসেছিল আলিম তার সত্যতা মিলেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

মহেশপুরের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রেমিক পুলিশ কনষ্টবলকে ১০ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আলোচিত মুসা মিয়ার স্ত্রী রিপ্না খাতুন ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল আলিমের(৩২) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। আব্দুল আলিম যাদবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, সোমবার দেবহাটার ইছামতী নদীর ছুটিপুর ও কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর বসন্তপুর থেকে যথাক্রমে মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মা রিপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইসরাফিল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মুছা মিয়া। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান, সাড়ে ৫ বছর আগে রিপ্না খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও একই গ্রামের আলীমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আলীম (কং নং-৯৫২৮) বর্তমানে ঢাকার গুলশানে ডিপোমেট্রিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। ছুটিতে থাকা আলীমকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে। পূর্বের প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে ইতিপূর্বে আলিম কালিগঞ্জ থানায় কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত কোন ব্যক্তির বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লাশ সনাক্ত কালে পুলিশকে অবহিত করেন মুছা মিয়া। প্রাথমিক তদন্তে রিপ্না ও মুন্নিকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসেছিল আলিম তার সত্যতা মিলেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।