ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অফিস বিল্ডিং এর ঘা ঘেঁষে ৮ টি মেহগনি গাছ তার মধ্যে একটি গাছের মাঝ থেকে বাকি গুলিরডাল পালা বিনা কারনে কেটে সয়লাব করেছে। যে গাছ গুলো গরম মৌসুমে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছায়া দিত। জানা গেছে, গত শুক্রবারে স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জমির উদ্দিন বিশ্বাস এই গাছ গুলো কাটতে থাকে। এসময়ে গ্রামের সাধারন মানুষ খবর পেয়ে গাছ কাটায় বাধা দেয়। তার পরে জমির গাছের ডালপালা বিভিন্ন জাইগায় সরিয়ে রাখে। এখন ও স্কুল মাঠে গাছের কিছু ডালপালা পড়ে রয়েছে। এই গাছের কিছু ডাল পালা ৬ টুকরা পড়ে আছে উমেদপুর বাজারের জিকু লস্কারের ঘরের পিছনে এবং ৪ টুকরা পড়ে আছে করিম মোল্লার ছ মিলের উত্তর পাশে চিড়ার মিলের দেওয়াল ঘেঁষে। উমেদপুর গ্রামের রমাজান আলী বলেন বিনা কারনে এই গাছ গুলো কাটার কারণে এলাকার মানুষ ভীষণ উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। সাধারন মানুষ এই গাছ কর্তন কারীর শাস্তি দাবি করেছে। যদি সরকার এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়। তাহলে সাধারন জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে এর তার দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহাল উদ্দিন বলেন, আমি দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে অসুস্থ্য, তাই স্কুলে যেতে পারি না। গত শুক্রবারে একজন ফোন করে জানায় সভাপতি স্কুলের গাছ গুলো কেটে ফেলছে। তখন আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তার বাধায় গাছ কাটা বন্ধ হয়। গাছ কাটার ব্যপারে কমিটির মিটিং এ কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু মৌখিক ভাবে ছাদের উপর আসার কারনে একটি ডাল কাটার কথা হয়েছিল, তাই সিদ্ধান্ত হয়নি। উনি কি জন্য এই গাছ গুলি এই ভাবে কাটলেন তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জমির উদ্দিন বলেন, কোন গাছ কাটা হয়নি। স্কুল চুনকাম করতে অসুবিধা হচ্ছিল তাই কয়েকটি গাছের ডাল পালাকাটা হয়েছে মাত্র। তাছাড়া একটি আমগাছের ডাল শহীদ মিনার ডেকে রেখেছিল তার একটি ডাল কাটা হয়েছে।