মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মাগুরায় আমের আগাম মুকুল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ফাল্গুন এখনো আসেনি, শীতও শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে মাগুরার কিছু আম গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুল। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মাস খানেক আগে আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে মূলত আমে মুকুল আসতে শুরু করেছে।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে। তবে পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। যেসব গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে, তার মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন।

কৃষি বিভাগ জানান, আমের অঞ্চল বলতে এক সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকে বোঝাত। এখন অবস্থা ভিন্ন। মাগুরায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে আমের আবাদ।

কৃষকেরা জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও গেল সপ্তাহ থেকে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। সদর উপজেলা, শ্রীপুর উপজেলা, শালিখা উপজেলা ও মহম্মদপুর উপজেলায় রয়েছে বড় বড় আমবাগান।

প্রতি বছর আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। জেলার ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে আম বাগানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সব বাগানে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, আশ্বিনা জাতের আমই বেশি। সেই সঙ্গে গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের আমের বাগান তৈরিতেও আগ্রহী হয়ে উঠছে কেউ কেউ।

মাগুরা সদরের আবালপুর এলাকার আম চাষি আজিজুর রহমান হোসেন বলেন, আম গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সম্ভাব্য মুকুলের শাখা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে।

মহম্মদপুর সদরের আম বাগান মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তবে গুটি ও আশ্বিনা জাতেই বেশি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা, আগাম যেসব গাছে মুকুল আসছে, তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে। এবার শীতের তীব্রতা ও তাপমাত্রার কারণে গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

মাগুরায় আমের আগাম মুকুল !

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ফাল্গুন এখনো আসেনি, শীতও শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে মাগুরার কিছু আম গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুল। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মাস খানেক আগে আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে মূলত আমে মুকুল আসতে শুরু করেছে।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে। তবে পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। যেসব গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে, তার মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন।

কৃষি বিভাগ জানান, আমের অঞ্চল বলতে এক সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকে বোঝাত। এখন অবস্থা ভিন্ন। মাগুরায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে আমের আবাদ।

কৃষকেরা জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও গেল সপ্তাহ থেকে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। সদর উপজেলা, শ্রীপুর উপজেলা, শালিখা উপজেলা ও মহম্মদপুর উপজেলায় রয়েছে বড় বড় আমবাগান।

প্রতি বছর আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। জেলার ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে আম বাগানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সব বাগানে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, আশ্বিনা জাতের আমই বেশি। সেই সঙ্গে গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের আমের বাগান তৈরিতেও আগ্রহী হয়ে উঠছে কেউ কেউ।

মাগুরা সদরের আবালপুর এলাকার আম চাষি আজিজুর রহমান হোসেন বলেন, আম গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সম্ভাব্য মুকুলের শাখা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে।

মহম্মদপুর সদরের আম বাগান মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তবে গুটি ও আশ্বিনা জাতেই বেশি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা, আগাম যেসব গাছে মুকুল আসছে, তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে। এবার শীতের তীব্রতা ও তাপমাত্রার কারণে গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে।