শিরোনাম :
Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ২ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন Logo বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন উত্তোলন । Logo কয়রায় চিংড়িতে জেলি পুশ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo ইবি’র লালন শাহ হল পরিদর্শনে উপাচার্য Logo বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান Logo কচুয়ায় ১৬ পরিবারকে ঢেউটিন ও সহায়তার চেক বিতরণ Logo মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় প্রধান চার আসামি নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, আলোচিত এই মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছর ৩০ নভেম্বর রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন এমন আরও ১৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এসআই পূর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার এমদাদুল হক, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, সৈনিক আবদুল আলীম, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া বাকিদের মধ্যে নূর হোসেনের ৯ সহযোগী ভারতে গ্রেফতারকৃত সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৯ জনও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামান ১০ বছর এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত প্রাঙ্গনে আনন্দ মিছিল করে আইনজীবীরা। কারণ ওই ৭ জন নিহতের মধ্যে ছিলেন তাদের এক সহকর্মী প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর একদিন পর অপরজনের লাশও একই স্থানে পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর এককটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। মামলা দুটির চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক আছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ !

আপডেট সময় : ১১:৫২:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় প্রধান চার আসামি নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, আলোচিত এই মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছর ৩০ নভেম্বর রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন এমন আরও ১৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এসআই পূর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার এমদাদুল হক, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, সৈনিক আবদুল আলীম, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া বাকিদের মধ্যে নূর হোসেনের ৯ সহযোগী ভারতে গ্রেফতারকৃত সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৯ জনও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামান ১০ বছর এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত প্রাঙ্গনে আনন্দ মিছিল করে আইনজীবীরা। কারণ ওই ৭ জন নিহতের মধ্যে ছিলেন তাদের এক সহকর্মী প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর একদিন পর অপরজনের লাশও একই স্থানে পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর এককটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। মামলা দুটির চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক আছেন।