নিউজ ডেস্ক:
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নাইট ক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে বিদেশি পর্যটকসহ ৩৯ জন নিহত হওয়ার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
রোববার নতুন বছরের প্রথম প্রহরে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী শহরটির জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। পরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এক বিবৃতিতে আইএস জানিয়েছে, তাদের এক ‘বীর সেনা’ হামলাটি চালিয়েছে।এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি গত বছর তুরস্কে অন্তত দুটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো তুরস্কজুড়ে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।
তিনি বলেন, “তারা আমাদের জনগণের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে জানিয়েছে। পিকেকে’র ভারপ্রাপ্ত নেতা মুরাত কারায়িলান দাবি করেছেন, তারা কখনোই ‘নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যস্থল’ করেন না।
এর আগে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সওলু জানিয়েছেন, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।তিনি বলেন, “অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। আমরা আশা করছি, হামলাকারী শিগগিরই ধরা পড়বে।”
যে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ জন তুর্কি নাগরিক, বাকী ২৮ জন বিদেশি। এদের মধ্যে সৌদি আরবের সাতজন, ইরাকের চারজন, লেবাননের তিনজন এবং জর্দান, ভারত ও মরক্কোর ২ জন করে নাগরিক রয়েছেন।এছাড়া সিরিয়া, ইসরায়েল, ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, বেলজিয়াম, কুয়েত, কানাডা ও রাশিয়ার একজন করে নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এ হামলায় আহত অন্তত ৬৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।


























































