নিউজ ডেস্ক:
২০১৭ সালের কুৎসিততম কুকুরের খেতাব জিতেছে মার্থা নামের এক সুবিশাল, ষাঁড় খেদানো কুকুরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার পেটালুমায় প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। যার উদ্দেশ্য হলো- মানুষজনকে বেওয়ারিশ কুকুর পালনে উৎসাহিত করা।
প্রতিযোগিতায় যে শুধু কুশ্রী হলেই পয়েন্ট দেওয়া হয়, এমন নয়। প্রতিযোগীদের নানা বৈশিষ্ট্য, তাদের ব্যক্তিত্ব বা দর্শকদের প্রতিক্রিয়ারও একটা ভূমিকা থাকে। এসব কুকুরের অধিকাংশই এসেছে শেল্টার বা রেস্কিউ হোম থেকে, বেওয়ারিশ পশুপাখিদের উদ্ধার করে যেখানে রাখা হয় ও যেখান থেকে তাদের পোষ্য নেওয়া যায়।
এদিকে এসব ‘কুৎসিত’ কুকুরের মালিকরা বলেন, তারা নাকি মো, ইকি কিংবা চেজ-কে একবার দেখেই তাদের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন।
‘দ্য স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড’
‘স্পিরিট’ বলতে বোঝায় প্রেরণা। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পুরস্কারটি দেওয়া হয় এই স্পিরিট-এর জন্য-অর্থাৎ যেসব কুকুর আর তাদের মালিকরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন, কিংবা সমাজের বিশেষ কোনো কাজে লেগেছে। এই বিভাগে এবার জিতেছে মো। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বর্ষীয়ান এই কুকুরের বয়স ১৬ বছর, ব্রাসেলস গ্রিফন আর পাগ- এই দুইটি জাতের সংমিশ্রণে সৃষ্ট এক অদ্ভূত জীব। মো’র কান আর চোখ, দুইই গেছে, কিন্তু নাক নাকি এখনো অসাধারণ।
১৪ বছর বয়সী চেজ হলো চাইনিজ ক্রেস্টেড আর হার্কে -এই দুই জাতের কুকুরের মিশ্রণ থেকে উৎপন্ন। জন্ম যুক্তরাজ্যের নিথ-এ। সেখান থেকে প্লেনে করে চেজ গেছে সুদূর ক্যালিফর্নিয়ায় বিশ্ব অসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্য। পেয়েছে তৃতীয় স্থান। হবে না-ই বা কেন-চেজ-এর চেয়ে বেশি দূর থেকে তো আর কোনো প্রতিযোগী আসেনি!
সূত্র: ডয়েচ ভেলে