যে কারণে ২৫৬ বছর বেঁচেছিলেন লি চিং ইউয়েন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

লি চিং ইউয়েন নামের চীনের এক ব্যক্তি ২৫৬ বছর বেঁচেছিলেন। রূপকথার কোনো গল্প নয়। এটি সত্যিই ঘটেছিল।

১৯৩০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের চেংদু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক য়ু চাং শি চায়না সাম্রাজ্যের কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাতে দেখা যায়, ১৮২৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ১৫০ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল চীনা সরকার।

আরেকটি নথিতে দেখা যায়,  ১৮৭৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ২০০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

লি চিং-ইউয়েন মোট ২৩ বার বিয়ে করেছিলেন। সন্তানের সংখ্যা ছিল ২০০ এর বেশি। ১৭৪৯ সালে ৭১ বছর বয়সে তিনি চীনের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে মার্শাল আর্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।

নিজের সম্প্রদায়ে লি শিং ইউয়েন খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি লিখতে-পড়তে পারতেন। ১০ বছর বয়সেই তিনি চীনের কানসু, শানসি, তিব্বত, আনাম, সিয়াম ও মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ ভ্রমণ করেন ওষুধি লতাপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে।

১০০ বছর বয়স পর্যন্ত লি চিং ইউয়েন ওষুধি লতাপাতা সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছেন। এর পর থেকে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

লি চিং-ইউয়েন ভাত থেকে তৈরি মদ ও ওষুধি লতাপাতা খেতেন। দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লি চিং ইউয়েন একবার বলেছিলেন, ‘মনকে শান্ত রাখো, কচ্ছপের মতো বসো, কবুতরে ছন্দে হাঁটো আর কুকুরের মতো ঘুমাও। ‘

মৃত্যুশয্যায় লি চিং ইউয়েনের শেষ কথাটি ছিল, ‘পৃথিবীতে আমার যা যা করার কথা ছিল সবই আমি করেছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে ২৫৬ বছর বেঁচেছিলেন লি চিং ইউয়েন !

আপডেট সময় : ১২:৪০:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

লি চিং ইউয়েন নামের চীনের এক ব্যক্তি ২৫৬ বছর বেঁচেছিলেন। রূপকথার কোনো গল্প নয়। এটি সত্যিই ঘটেছিল।

১৯৩০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের চেংদু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক য়ু চাং শি চায়না সাম্রাজ্যের কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাতে দেখা যায়, ১৮২৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ১৫০ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল চীনা সরকার।

আরেকটি নথিতে দেখা যায়,  ১৮৭৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ২০০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

লি চিং-ইউয়েন মোট ২৩ বার বিয়ে করেছিলেন। সন্তানের সংখ্যা ছিল ২০০ এর বেশি। ১৭৪৯ সালে ৭১ বছর বয়সে তিনি চীনের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে মার্শাল আর্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।

নিজের সম্প্রদায়ে লি শিং ইউয়েন খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি লিখতে-পড়তে পারতেন। ১০ বছর বয়সেই তিনি চীনের কানসু, শানসি, তিব্বত, আনাম, সিয়াম ও মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ ভ্রমণ করেন ওষুধি লতাপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে।

১০০ বছর বয়স পর্যন্ত লি চিং ইউয়েন ওষুধি লতাপাতা সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছেন। এর পর থেকে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

লি চিং-ইউয়েন ভাত থেকে তৈরি মদ ও ওষুধি লতাপাতা খেতেন। দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লি চিং ইউয়েন একবার বলেছিলেন, ‘মনকে শান্ত রাখো, কচ্ছপের মতো বসো, কবুতরে ছন্দে হাঁটো আর কুকুরের মতো ঘুমাও। ‘

মৃত্যুশয্যায় লি চিং ইউয়েনের শেষ কথাটি ছিল, ‘পৃথিবীতে আমার যা যা করার কথা ছিল সবই আমি করেছি।