আগে আমার পড়াশোন পরে আমার বিয়ে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলার সাহসী মেয়ে সোনিয়া  নিজের বাল্যবিবাহ নিজেই বন্ধ করেছে।

 ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা উজানপাড়া এতিম খানা আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বৈলর বাঁশকুড়ি গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী আনিছুর রহমান মেয়ে সোনিয়া(১৩) অমতে আসছে শুক্রবার ভালুকা উপজেলার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ও লড়ি চালক সেলিমের সাথে বিয়ে ঠিক করে

এই বিয়েতে রাজি ছিলো না সোনিয়া , সে আরো পড়াশোনা  করতে চায় ।

 সোনিয়া বার বার তার বিয়ের বয়স হয়নি সে আরো লেখাপড়া করবে বলে তার পিতাকে বিয়ে বন্ধ করতে বললেও তার পিতা বিয়ে বন্ধ না করে বিয়ের দিন ঠিক রেখে গতকাল শনিবার গায়ে হলুদের আয়োজন করে

সোনিয়া বার বার বলার পরেও যখন কিছু হচ্ছিলো না পরে যখন সে জানতে বিয়ের প্রস্তুতি সব ঠিকঠাক পরে শুক্রবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল মুনসুরকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়টি জানায় সোনিয়া এবং বিয়েটি আটকানোর জন্য অনুরোধ করে

 শনিবার সকালে শিক্ষক আবুল মুনসুর সোনিয়ার বাড়ী থেকে সোনিয়াকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে

পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গনির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপনকে অবগত করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়ার পিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে ডেকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা বন্ধ করেন

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন স্থানীয় সাংবাদিক ও শিক্ষকদের সামনে সোনিয়ার লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নেন এবং সোনিয়াকে ২ সেট কাপড় উপহার দেন

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগে আমার পড়াশোন পরে আমার বিয়ে

আপডেট সময় : ০৩:০১:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলার সাহসী মেয়ে সোনিয়া  নিজের বাল্যবিবাহ নিজেই বন্ধ করেছে।

 ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা উজানপাড়া এতিম খানা আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বৈলর বাঁশকুড়ি গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী আনিছুর রহমান মেয়ে সোনিয়া(১৩) অমতে আসছে শুক্রবার ভালুকা উপজেলার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ও লড়ি চালক সেলিমের সাথে বিয়ে ঠিক করে

এই বিয়েতে রাজি ছিলো না সোনিয়া , সে আরো পড়াশোনা  করতে চায় ।

 সোনিয়া বার বার তার বিয়ের বয়স হয়নি সে আরো লেখাপড়া করবে বলে তার পিতাকে বিয়ে বন্ধ করতে বললেও তার পিতা বিয়ে বন্ধ না করে বিয়ের দিন ঠিক রেখে গতকাল শনিবার গায়ে হলুদের আয়োজন করে

সোনিয়া বার বার বলার পরেও যখন কিছু হচ্ছিলো না পরে যখন সে জানতে বিয়ের প্রস্তুতি সব ঠিকঠাক পরে শুক্রবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল মুনসুরকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়টি জানায় সোনিয়া এবং বিয়েটি আটকানোর জন্য অনুরোধ করে

 শনিবার সকালে শিক্ষক আবুল মুনসুর সোনিয়ার বাড়ী থেকে সোনিয়াকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে

পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গনির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপনকে অবগত করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়ার পিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে ডেকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা বন্ধ করেন

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন স্থানীয় সাংবাদিক ও শিক্ষকদের সামনে সোনিয়ার লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নেন এবং সোনিয়াকে ২ সেট কাপড় উপহার দেন