চাঁদপুর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে সিমস প্রকল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা সাংবাদিক ক্লাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম এন জামিউল হিকমা।
তিনি বলেন, “নিয়ম না মেনে বিদেশে গেলে বাড়তি আর্থিক ব্যয়, যাত্রাপথে ভোগান্তি, পাচারের শিকার হওয়া এমনকি পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে।”প্রবাসে যে কোনো সমস্যায় পরিবারকে জানাতে হবে। কারণ পরিবার জানলে বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচাতে তারা সহযোগিতা করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিদেশের চাহিদা অনুযায়ী টিটিসি, যুব উন্নয়ন, বিটাক থেকে কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি বিধান না মেনে দয়া করে কেউ অবৈধভাবে বিদেশ যাবেন না। অবৈধভাবে বা অবৈধ পথে বিদেশে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরিবার ও নিজের সুখের আশায় অবৈধভাবে বিদেশে জীবনও দিতে হয়েছে অনেকের। এতে নিজের যেমন কষ্ট হয় তেমন করে পরিবারের লোকজনও পড়েন হতাশায়। ফলে সুখের বদলে পরিবারে নেমে আশে অশান্তির কারণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,বিদেশে যেতে হলে সেই দেশের ভাষা ও কাজের দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ করে বিদেশ গেলে আর অশান্তির কারণ হবে না। বাংলাদেশ সরকার সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে রেখেছে। তাই তিনি প্রশিক্ষণ ছাড়া অবৈধ ভাবে বিদেশে গিয়ে ভোগান্তির শিকার না হওয়ার জন্য আহবান জানান।
প্রশিক্ষণে সঞ্চালনা করেন সিসিডিএ সিমস-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী নার্গিস আক্তার। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন প্রকল্প কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, যিনি নিরাপদ অভিবাসন ইস্যুতে স্থানীয় অংশীজনদের দায়িত্ব ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন তরপুরচন্ডি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মুনসুর আহমেদ।
উল্লেখ্য, সিসিডিএ সিমস-২ প্রকল্প ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার ৬টি উপজেলা, ৩৭টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভায় নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।





















































