ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, এবারের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে, যা অতীতের সকল বদনাম ঘুচাবে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা অ্যাকাডেমিক ভবনে ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক পদে লিখিত পরীক্ষা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, “এখানে মেধা ও যোগ্যতাই হবে নিয়োগের একমাত্র মাপকাঠি। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। পরীক্ষা, ভাইভা ও একাডেমিক ফলাফল—এই তিনটির সমন্বয়ে সর্বোচ্চ মেধাবী প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হবে।”
ফ্যাসিস্ট সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “যারা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন তারাই এখানে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। কে কোন সংগঠন বা দলের সঙ্গে যুক্ত, সেটা বিষয় নয়—সবার জন্য সুযোগ উন্মুক্ত।”
জানা গেছে, বিভাগটির প্রভাষক পদে ৬৯ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এক ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন রাখা হয়। লিখিত ও মৌখিক—দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। বিকেলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর উপাচার্যের বাসভবনে ভাইভা অনুষ্ঠিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নিয়মমাফিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রশ্নপত্রও ছিল মানসম্মত।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মোট তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে দুজন সহকারী অধ্যাপক পদের বিপরীতে এবং একজন অধ্যাপক পদে বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।