চাঁদপুরের কচুয়ায় খামারির মুরগি বিক্রির পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় মুরগি খামারির বাড়ি ঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২২ সেপ্টেম্বর কচুয়া উপজেলার ১২ নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কচুয়া থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশ্রাফপুর গ্রামের সরদার বাড়ির মৃত জুনাব আলীর সহজ-সরল ছেলে আহছান উল্লাহ ১শতক জমি বিক্রি করে ও ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়িতে স্বল্প পরিসরে মুরগির খামার করে লালন পালন শুরু করেন। ওই খামার থেকে নিয়মিত মুরগি নিয়ে ফেরি করে পার্শ্ববর্তী শুকুর মিয়া গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতেন। গত তিন মাস পূর্বে মানিকের ছেলে শরীফকে সাথে নিয়ে মুরগি খামার থেকে ৬০ টি মুরগি বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়, ১৬ টি মুরগি বিক্রি করে বাকী ৪৪ টি মুরগি তিন দিন পর ফেরত দিতে চাইলে মুরগীগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুরগির খামারী আহছান উল্লাহ ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানালে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিবাদী শরীফও শুকুর আলী। ৩ মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার আহছান উল্লাহর মা আছুরা বেগম মানিকের ছেলে শরীফের কাছে গিয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় ১ নং বিবাদী শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং দুই পক্ষ তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে শরীফ খামারির বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় আহছান উল্লাহর মা আছুরা বেগম কচুয়া থানায় শরীফ, শুকুর আলী ও দুলালের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করলে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে মুরগির খামারি আহছান উল্লাহ বলেন, আমার শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে চাকরি বা অন্য কোনো কাজকর্ম করতে না পারায় এবং প্রবাসেও যাওয়ার সুযোগ না থাকায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ছোট খাটো মুরগি ফার্ম করেছি। আমার খামার থেকে শরীফ ও শুকুর আলী মুরগি নিয়ে গ্রামে বিক্রি করে আমাকে টাকা দেয় না! আমার পাওনা টাকা চাইলে তারা আমার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।























































