শিরোনাম :
Logo খুবিতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার সাচার ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি নির্বাচিত শিক্ষানুরাগী এডভোকেট নজরুল ইসলাম Logo ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন: ভোটার তালিকায় নেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা Logo আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচারের দাবীতে চাঁদপুরে ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মানববন্ধন Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে হেলথ অ্যায়ারনেস প্রোগ্রাম! Logo সাতক্ষীরা জেলা শাখার তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় বিল স্থগিত Logo সিরাজগঞ্জে ফলদ গাছের চারা বিতরণ! Logo জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে, অপরাধীদের রেহাই নেই: আইজিপি Logo পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আগামীকাল

সিরাজগঞ্জে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় বিল স্থগিত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে

নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল ধরায় বিল স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিডিউল অনুযায়ী পুনর্র্নিমাণের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের আওতায় পাঁরপাচিল বদিউজ্জামানের বাড়ি থেকে মান্নানের বাড়ি অভিমুখে সিয়াম কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। সেই কাজের রাস্তা নির্মাণে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী রাস্তা আরসিসি করার কথা থাকলেও ঠিকাদার দ্রুত কাজ শেষ করতে নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া ব্যবহার করে সিসি ঢালাই করেন। এর ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় ফাটল দেখা দেয় এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক সচিব ও প্রশাসক সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পান। তারা জানান, প্রকল্পে আরসিসি রাস্তার পরিবর্তে সিসি ঢালাই করায় রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা টেকসই হয়নি। বরাদ্দকৃত অর্থও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি বলে তারা মনে করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এত টাকা খরচ করেও রাস্তাটা ব্যবহারযোগ্য হয়নি। আমরা চাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

প্রকল্পের সভাপতি ও ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, তার অনুমতি ছাড়াই প্রকল্পের নামফলকে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কোথায় কোন কাজ করা হয়েছে তাও জানিনা।

ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, কিছু অংশে আরসিসি থাকলেও পরে সিসি ঢালাই করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের কারণে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। এ কাজ আমার সময়ে বাস্তবায়ন হয়নি।

বাস্তবায়নকারী মেসার্স সিয়াম কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, সিসি ঢালাই মনে করে কাজটি শেষ করা হয়েছে। এখন দেখছি ওই কাজে আরসিসি অনুযায়ী সিডিউল করা ছিল।

ইউপি প্রশাসক ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী রাস্তাটি পুনর্র্নিমাণ না হলে কোনভাবেই বিল দেওয়া হবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় বিল স্থগিত

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল ধরায় বিল স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিডিউল অনুযায়ী পুনর্র্নিমাণের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের আওতায় পাঁরপাচিল বদিউজ্জামানের বাড়ি থেকে মান্নানের বাড়ি অভিমুখে সিয়াম কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। সেই কাজের রাস্তা নির্মাণে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী রাস্তা আরসিসি করার কথা থাকলেও ঠিকাদার দ্রুত কাজ শেষ করতে নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া ব্যবহার করে সিসি ঢালাই করেন। এর ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় ফাটল দেখা দেয় এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক সচিব ও প্রশাসক সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পান। তারা জানান, প্রকল্পে আরসিসি রাস্তার পরিবর্তে সিসি ঢালাই করায় রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা টেকসই হয়নি। বরাদ্দকৃত অর্থও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি বলে তারা মনে করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এত টাকা খরচ করেও রাস্তাটা ব্যবহারযোগ্য হয়নি। আমরা চাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

প্রকল্পের সভাপতি ও ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, তার অনুমতি ছাড়াই প্রকল্পের নামফলকে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কোথায় কোন কাজ করা হয়েছে তাও জানিনা।

ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, কিছু অংশে আরসিসি থাকলেও পরে সিসি ঢালাই করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের কারণে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। এ কাজ আমার সময়ে বাস্তবায়ন হয়নি।

বাস্তবায়নকারী মেসার্স সিয়াম কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, সিসি ঢালাই মনে করে কাজটি শেষ করা হয়েছে। এখন দেখছি ওই কাজে আরসিসি অনুযায়ী সিডিউল করা ছিল।

ইউপি প্রশাসক ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী রাস্তাটি পুনর্র্নিমাণ না হলে কোনভাবেই বিল দেওয়া হবে না।