শিরোনাম :
Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির Logo দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-শি বৈঠক হবে Logo তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রচিন্তার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে : মনিরুল হক চৌধুরী Logo মুন্সিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামী গ্রেফতার Logo একদিনের সফরে কাল চাঁদপুর আসছেন মুফতি ফয়জুল করীম! Logo ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ ! Logo খুবির গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন উদ্বোধন! Logo বুটেক্সে ‘অরণ্যের সুর – ফোক ফেস্ট ২.০’ অনুষ্ঠিত

আত্ননির্ভরতার প্রেরণায় উজ্জীবিত জাতি: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তা যে আরও প্রাসঙ্গিক সহজেই অনুমেয়। বাঙালির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশকে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে পাকিস্তানি হানাদাররা শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন দেশের স্বাধীনতা। ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহিমান্বিত বিজয়। মহান স্বাধীনতার এদিনে আমরা স্মরণ করছি জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নিগৃহীত দুই থেকে তিন লাখ মা-বোনকে। মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গদানকারী মিত্রবাহিনীর শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণ করছি কৃতজ্ঞচিত্তে। সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে দেশ গত ৪৬ বছরে কতটুকু এগিয়েছে জাতি সে মূল্যায়ন করছে আজ স্বাধীনতার বার্ষিকীতে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান ঘুচাতেও এ দিন শপথ নেবে দেশপ্রেমী প্রতিটি মানুষ। জাতি এ বছর এমন এক সময় ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যখন মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আরও কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া চলছে। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার এ প্রয়াসের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পাকিস্তানি বশংবদরা। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের সব অর্জনকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।   এই অশুভ শক্তির মোকাবিলায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।   স্বাধীনতার সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে আরও প্রত্যয়ী হতে হবে। ৪৬তম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে দেশবাসীর প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা

আত্ননির্ভরতার প্রেরণায় উজ্জীবিত জাতি: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস !

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তা যে আরও প্রাসঙ্গিক সহজেই অনুমেয়। বাঙালির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশকে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে পাকিস্তানি হানাদাররা শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন দেশের স্বাধীনতা। ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহিমান্বিত বিজয়। মহান স্বাধীনতার এদিনে আমরা স্মরণ করছি জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নিগৃহীত দুই থেকে তিন লাখ মা-বোনকে। মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গদানকারী মিত্রবাহিনীর শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণ করছি কৃতজ্ঞচিত্তে। সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে দেশ গত ৪৬ বছরে কতটুকু এগিয়েছে জাতি সে মূল্যায়ন করছে আজ স্বাধীনতার বার্ষিকীতে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান ঘুচাতেও এ দিন শপথ নেবে দেশপ্রেমী প্রতিটি মানুষ। জাতি এ বছর এমন এক সময় ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যখন মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আরও কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া চলছে। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার এ প্রয়াসের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পাকিস্তানি বশংবদরা। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের সব অর্জনকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।   এই অশুভ শক্তির মোকাবিলায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।   স্বাধীনতার সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে আরও প্রত্যয়ী হতে হবে। ৪৬তম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে দেশবাসীর প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।