শিরোনাম :
Logo ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুই গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার Logo পোল ভল্টে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ডুপ্লান্টিস Logo টটেনহ্যামের নতুন অধিনায়ক রোমেরো Logo রাবির ৩ হলে হেল্থ এন্ড ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশনের খাদ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ Logo ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রফেসর ইউনূস Logo গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা Logo ইবিতে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo খুবিতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা Logo কচুয়ায় চাংপুর সরকার বাড়িতে জলাবদ্ধতায় ৬০ পরিবার পানিবন্দি, সীমাহীন দুর্ভোগ Logo প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে রাবি আইন বিভাগ, চলছে রেজিস্ট্রেশন

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুই গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।