শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।