শিরোনাম :
Logo ‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’ Logo ‘আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল’ Logo ‘উমামার সব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মতো না, আবার সব গ্রহণ করার মতোও না’ Logo মুরাদনগরের এক উপদেষ্টা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত: মির্জা ফখরুল Logo ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যেভাবে ঠেকানো হয় যুদ্ধ, চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য দিলো কাতার Logo নেতানিয়াহুর চলে যাওয়া উচিত: ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনেট Logo ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হলো কি না, দেখবেন যেভাবে Logo এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসবে ৮১৭ বন্দির মুখে হাসি Logo রাবি সংস্কারে ৯ দফা দাবি প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ইরাক ও ইরানের সংঘাতের সময় ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা দাবি করেছে ইরান। দেশেটি জার্মানিকে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ খবর জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বাঘাই লেখেন, ‘আজ থেকে ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন ইরানের সারদাশত শহরে সাদ্দাম হোসেইনের পতিত শাসন রাসায়নিক হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১১০ জনকে হত্যা করে এবং ৮ হাজার জনকে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে সত্য প্রকাশ করে আইনি ও নৈতিক দায় স্বীকার করতে হবে।’

বাঘাই আরও বলেন, এটি সারদাশতের একমাত্র ঘটনা ছিল না, বরং সাদ্দাম বারবার ইরানি সৈন্য ও সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে কখনো জবাবদিহির আওতায় আনেনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৩৮ বছর পরও ইরানিরা এখনো জানতে চায়- কে এই নৃশংসতার পেছনে ছিল। তিনি বলেন, যারা সাদ্দামকে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাঘাই বলেন, ‘জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস কোনো না কোনোভাবে ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকে জার্মান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জার্মান সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব ছিল না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখবে, কারণ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো সময়সীমা নেই।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দাম হোসেইনের সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্রে সহায়তা করেছে। পরে এই অপরাধে চোখ বন্ধ রেখেছে, বরং উল্টো সাদ্দামকে সমর্থন করেছে।