যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করা হলেও, তেহরান বলছে—দেশটির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ এখনো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হলেও খেলা শেষ নয়। আমাদের সমৃদ্ধ উপকরণ, নিজস্ব জ্ঞান এবং রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এখনও অটুট।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনসম্মত আত্মরক্ষার অধিকার আমাদের রয়েছে। এখন যারা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পদক্ষেপ নেবে এবং অন্ধ হামলা এড়াবে—তাদের হাতেই থাকবে কৌশলগত উদ্যোগ। চমক আরও আসবে!’
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি জানিয়েছে, মার্কিন হামলার আগেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো খালি করা হয়েছিল এবং সংবেদনশীল পারমাণবিক উপকরণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, মার্কিন বাহিনী ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানে ফোর্ডো স্থাপনায় ছয়টি ব্যাংকার-বাস্টার বোমা ফেলা হয় এবং সাবমেরিন থেকে নাতানজ ও ইসফাহানে ডজনখানেক ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়।
এই হামলা মূলত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক অভিযানের সর্বশেষ ধাপ, যা ইরানের ওপর শুরু হয়। জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালায়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩০ জন নিহত ও সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।