নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং তেল আবিবের কনস্যুলার বিভাগ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

বুধবার (১৮ জুন) মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশ অনুসরণ করে আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দূতাবাস ও কনস্যুলার শাখার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাসস্থান কিংবা তার নিকটবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের।”

তবে এই মুহূর্তে বেসরকারি মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। দূতাবাসের ভাষ্য, “যদি পরবর্তীতে দেশত্যাগের বিকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে, তা মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ রয়েছে এবং সেখানে কোনো বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইট আপাতত চালু নেই। এমনকি ইসরায়েলের সমুদ্রবন্দরগুলোও কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তবে জর্ডানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী স্থলপথ এখনও খোলা আছে এবং বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে মার্কিন দূতাবাস জানায়।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং তেল আবিবের কনস্যুলার বিভাগ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

বুধবার (১৮ জুন) মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশ অনুসরণ করে আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দূতাবাস ও কনস্যুলার শাখার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাসস্থান কিংবা তার নিকটবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের।”

তবে এই মুহূর্তে বেসরকারি মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। দূতাবাসের ভাষ্য, “যদি পরবর্তীতে দেশত্যাগের বিকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে, তা মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ রয়েছে এবং সেখানে কোনো বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইট আপাতত চালু নেই। এমনকি ইসরায়েলের সমুদ্রবন্দরগুলোও কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তবে জর্ডানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী স্থলপথ এখনও খোলা আছে এবং বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে মার্কিন দূতাবাস জানায়।