চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসায় ইসলামি শিক্ষা প্রচারে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পথ দেখাচ্ছে। ২০০৯ সালে নন্দনপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত অত্যন্ত সুনিবিড় পরিবেশের দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তত্বাবধানে রয়েছে ১৪ জন সুদক্ষ শিক্ষক। হিফজ ও কিতাব বিভাগে শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
হিফজুল কুরআনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় পাঠদানের মাধ্যমে সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে নন্দনপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসায় । প্রতিষ্ঠার পর থেকে দ্বীনি এ প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র ও অভিভাবকদের আস্থা অর্জন নিতে সক্ষম হয়েছে। অত্যন্ত নিরিবিলি, মনোরম ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে চলছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাদান কার্যক্রম। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাফেজ ও শিক্ষকদের নিবিড় যত্ন ও পাঠদানের ফলে এরই মধ্যে হিফজুল কুরআন ও আধুনিক শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতির পাশাপাশি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে ছারছীনা শরীফের পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ (রহ:) নন্দনপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর দ্বীনি শিক্ষায় আলো ছড়িয়েছেন। ওই মাদ্রাসা এতিম,গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করেন। প্রতিবছর এ মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়ে বের হন। মাদ্রাসার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের পাশে সহায়তা দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হুজুররা আমাদের নিজ সন্তানের মতো লালন পালন করেন। নিয়মিত ভাবে শ্রেনি কক্ষে পাঠদনা করাচ্ছেন। আমরা এ মাদ্রাসা পড়ে খুবই আনন্দিত।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, আরবি শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করি, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়াতে। ভবিষ্যতেও আমরা এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলব।
নন্দনপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি গাজী ওসমান গনি ফারুকী বলেন, মাদ্রাসাটির সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর পরিচালনায় অত্যন্ত সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি, মেধা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের জন্য মাদ্রাসাটির বাড়তি উদ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। দ্বীনি শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে জাতিগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মনে করেন তিনি।
ছবি-১: কচুয়ার নন্দনপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকগন।