শিরোনাম :

তেঁতুলিয়ায় সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ, দুদকের অভিযান।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় সড়ক বিহীন স্থানে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অভিযান চালিয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত)
আজমীর শরীফ মারজীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানের সেতুটির নির্মাণে ব্যবহৃত পাথর, বালি, সিমেন্ট ও রডের, নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া সেতুর মাপ ডিজাইন ও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিক তদন্ত চালানো হয়। পরে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, কনস্টেবল আব্দুস সামাদ ও শামীম হোসেন এবং উপজেলা এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২ টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
এর আগে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ করে সরকারের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই তদন্ত চলছে।

দুদকের উপ-পরিচালক আজমীর শরীফ মারজি বলেন, দুদক সেতু নির্মাণের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছি। আমরা বিভিন্ন নমুনা এবং নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষাগারে নমুনাগুলোর ফলাফল পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পায়ে হেঁটে রাবি রোভার স্কাউট-এর ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ যাত্রা

তেঁতুলিয়ায় সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ, দুদকের অভিযান।

আপডেট সময় : ০৮:২৯:০০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় সড়ক বিহীন স্থানে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অভিযান চালিয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত)
আজমীর শরীফ মারজীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানের সেতুটির নির্মাণে ব্যবহৃত পাথর, বালি, সিমেন্ট ও রডের, নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া সেতুর মাপ ডিজাইন ও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিক তদন্ত চালানো হয়। পরে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, কনস্টেবল আব্দুস সামাদ ও শামীম হোসেন এবং উপজেলা এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২ টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
এর আগে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ করে সরকারের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই তদন্ত চলছে।

দুদকের উপ-পরিচালক আজমীর শরীফ মারজি বলেন, দুদক সেতু নির্মাণের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছি। আমরা বিভিন্ন নমুনা এবং নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষাগারে নমুনাগুলোর ফলাফল পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।