মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডক্টর এ.এস.এম. কিবরিয়া। এসময় তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১২০০ জন করে ফিশারিজে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। সে হিসেবে তাদের চাকরির সুযোগ তুলনামূলক কম। শুধু চাকরি নিশ্চিত করাই নয় বরং দেশের মৎস্যখাতকে এগিয়ে নিতে হলেও এই অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরী। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই দ্রুত এ অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন করুন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মথস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫ সালে “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” হিসেবে ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত দশ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তৎকালীন উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় ৩৯৫টি নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদের কথা বলা হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সাথে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত হতে মিটানো জন্য বলা হয়।
এছাড়াও শর্ত হিসেবে বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রস্তাবনার পরও বিগত ১০ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৫ সালের পর দশ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা আমাদের সাথে একপ্রকার বৈষম্য। মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন সৃষ্টি করা পদে দ্রুত নিয়োগ এবং প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

মানববন্ধন শেষে ফিশারিজ শিক্ষার প্রতি অবহেলা বন্ধ করে ন্যায্যতা নিশ্চিত করাসহ তিনদফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরি।

আপডেট সময় : ০৬:২০:২৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডক্টর এ.এস.এম. কিবরিয়া। এসময় তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১২০০ জন করে ফিশারিজে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। সে হিসেবে তাদের চাকরির সুযোগ তুলনামূলক কম। শুধু চাকরি নিশ্চিত করাই নয় বরং দেশের মৎস্যখাতকে এগিয়ে নিতে হলেও এই অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরী। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই দ্রুত এ অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন করুন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মথস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫ সালে “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” হিসেবে ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত দশ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তৎকালীন উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় ৩৯৫টি নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদের কথা বলা হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সাথে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত হতে মিটানো জন্য বলা হয়।
এছাড়াও শর্ত হিসেবে বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রস্তাবনার পরও বিগত ১০ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৫ সালের পর দশ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা আমাদের সাথে একপ্রকার বৈষম্য। মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন সৃষ্টি করা পদে দ্রুত নিয়োগ এবং প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

মানববন্ধন শেষে ফিশারিজ শিক্ষার প্রতি অবহেলা বন্ধ করে ন্যায্যতা নিশ্চিত করাসহ তিনদফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।