সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে আইইবি স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ৮৪৫ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ’র (আইইবি) স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) দুপর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত ই খুদা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

এমসয় শিক্ষার্থীরা বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, আমাদের যে প্রাপ্য সম্মান,সুযোগ-সুবিধা সেগুলো থেকেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদগুলো আছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও আমরা আমাদের যে ক্লাসরুম সংকট তা নিরসন হয়নি। এখনও আমাদের ৪/৫ টি ব্যাচকে মাত্র দুইটি রুমে ক্লাস করতে হয় ৷ আমাদের যে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা সেটি আমরা এখনও পাইনি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আমাদের ল্যাব ক্লাস করতে হয়।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অনুষদ বা বিভাগগুলোতে শিক্ষক সংকট এটা যেনো আমাদের গলার কাটা। প্রতিটি বিভাগে মাত্র ৪/৫ জন শিক্ষক। ফলে এই ৪/৫ জন শিক্ষককে একই সাথে ৩ থেকে ৪ টি কোর্স নিতে হয়। সব থেকে বড় কথা আমরা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও আমাদের আইইবি মেম্বারশীপ নেই। যার ফলে চার পাঁচ বছর পড়াশুনা শেষ করে আমরা নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারি না। তাই আমাদের দাবি আমাদের যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো আছে এগুলোকে আইইবি’র আওতাভুক্ত করতে হবে।আর তা করার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন।IEB হলো বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক সংস্থা। এই সংস্থা টি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত। আইইবিতে বর্তমানে সকল প্রকৌশল বিভাগ অন্তর্ভুক্ত।

ট্যাগস :

কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে আইইবি স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ’র (আইইবি) স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) দুপর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত ই খুদা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

এমসয় শিক্ষার্থীরা বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, আমাদের যে প্রাপ্য সম্মান,সুযোগ-সুবিধা সেগুলো থেকেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদগুলো আছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও আমরা আমাদের যে ক্লাসরুম সংকট তা নিরসন হয়নি। এখনও আমাদের ৪/৫ টি ব্যাচকে মাত্র দুইটি রুমে ক্লাস করতে হয় ৷ আমাদের যে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা সেটি আমরা এখনও পাইনি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আমাদের ল্যাব ক্লাস করতে হয়।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অনুষদ বা বিভাগগুলোতে শিক্ষক সংকট এটা যেনো আমাদের গলার কাটা। প্রতিটি বিভাগে মাত্র ৪/৫ জন শিক্ষক। ফলে এই ৪/৫ জন শিক্ষককে একই সাথে ৩ থেকে ৪ টি কোর্স নিতে হয়। সব থেকে বড় কথা আমরা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও আমাদের আইইবি মেম্বারশীপ নেই। যার ফলে চার পাঁচ বছর পড়াশুনা শেষ করে আমরা নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারি না। তাই আমাদের দাবি আমাদের যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো আছে এগুলোকে আইইবি’র আওতাভুক্ত করতে হবে।আর তা করার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন।IEB হলো বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক সংস্থা। এই সংস্থা টি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত। আইইবিতে বর্তমানে সকল প্রকৌশল বিভাগ অন্তর্ভুক্ত।