যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাবনীসহ ৩ জন রিমান্ডে

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল থেকে মামলায় গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য লাবনী চৌধুরীসহ ৩ জনকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে অপর দুজন হলেন- মো. রাজু আহমেদ ও  মো. সিরাজুল ইসলাম।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরও আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের একটি মিছিল বের হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুষ্কৃতিকারীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লেখা ব্যানারে শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও প্রহসনের বিচার ‘মানি না, মানবো না’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

এ ছাড়া, আরও উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কর্মকাণ্ড গতিশীল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি জানায়। স্বাধীন রাষ্ট্রের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে সম্পৃক্ত থেকে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অপরাধ করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাবনীসহ ৩ জন রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল থেকে মামলায় গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য লাবনী চৌধুরীসহ ৩ জনকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে অপর দুজন হলেন- মো. রাজু আহমেদ ও  মো. সিরাজুল ইসলাম।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরও আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের একটি মিছিল বের হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুষ্কৃতিকারীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লেখা ব্যানারে শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও প্রহসনের বিচার ‘মানি না, মানবো না’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

এ ছাড়া, আরও উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কর্মকাণ্ড গতিশীল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি জানায়। স্বাধীন রাষ্ট্রের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে সম্পৃক্ত থেকে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অপরাধ করেছে।