ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেছেন, আছিয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসলামের ব্যভিচার আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। বর্তমান আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি তাই প্রমাণ করে।
মানুষ ক্রমশ আইন হাতে তুলে নিতে অভ্যস্ত হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ভাল লক্ষণ নয়। সর্বত্র এর প্রভাব ছড়িয়ে পরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যা জুলাই আগষ্ট পরবর্তি বাংলাদেশে কাম্য ছিল না। শিশু—নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনাসহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকলে তা আইন কমিশন সংস্কারের মাধ্যমে নিরসন করতে হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে আয়োজিত সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাওলানা মাকসুদ আরও বলেন, ২৪ ‘র গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন না করায় আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে, ইউনুছ সরকারের কাজে বাধা দিচ্ছে। রাষ্ট্রকে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বতীর্কালীন সরকারকে এসব কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন।
শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা ওমায়ের খান রাহাতের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য হাফেজ মাওলানা ওমায়ের খান রাহাতকে সভাপতি, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সহ-সভাপতি ও বাহাউদ্দীন বাহারকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছবির ক্যাপশন: ইসলামী যুব আন্দোলন চাঁদপুর শহর শাখার সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।